সংক্ষিপ্ত

  • বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরলেন আটকে থাকা মৎস্যজীবীরা
  • খারাপ আবহাওয়ার কারণে বাংলাদেশে আশ্রয়  নেয় ভারতীয় ট্রলার
  • প্রায় ৩২টি ট্রলার আটকে ছিল বাংলাদেশে
  • এখনও নিখোঁজ ২৪ জন মৎস্যজীবী

মাঝ সমু্দ্রে গিয়ে প্রবল দুর্যোগের মুখে পড়েছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার কাকদ্বীপের প্রায় দেড়শো ট্রলার। অধিকাংশ ট্রলারই আশ্রয় নিয়েছিল বাংলাদেশে। সেখানে আটকে পড়া ৩২টি ট্রলার এবং ৫১৬ মৎস্যজীবী সরকারি উদ্যোগে ফিরে এলেন মঙ্গলবার। 

আরও পড়ুন- পাঁচ দিন সমু্দ্রে ভেসে উদ্ধার স্বামী, বিশ্বাসই হচ্ছে না বন্দনা দাসের

আরও পড়ুন- বাংলাদেশের জাহাজ কীভাবে উদ্ধার করল কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীকে, দেখুন সেই রোমহর্ষক ভিডিও

গত ৬ জুলাই বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া দেড়শোরও বেশি ট্রলার উত্তাল সমু্দ্রে বিপদের মধ্য পড়ে। বহু ট্রলার বাংলাদেশি জলসীমার মধ্যে ঢুকে পরে। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরের হাড়ি ভাঙার চড়ের কাছে চারটি ট্রলার ডুবেও যায়। সেই ঘটনায় এখনও নিখোঁজ ২৪ জন মৎস্যজীবী। প্রায় চারদিন সমুদ্রে ভেসে থাকার পরে রবীন্দ্রনাথ দাস নামে এক মৎস্যজীবীকে জীবিত উদ্ধার করে একটি বাংলাদেশি জাহাজ। ওই মৎস্যজীবীকে আগে ভারতে ফেরানো হয়েছিল। 

আরও পড়ুন- ঢেউয়ের আঁচড় আর মাছের কামড় সহ্য করে পুনর্জীবনের গল্প শোনালেন নামখানার মৎসজীবী

বাংলাদেশর জলসীমায় ঢুকে পড়া অধিকাংশ ট্রলার আবহাওয়া ভাল হওয়ার পরে ফেরত আসতে পারলেও ৩২টি ট্রলার এবং ৫১৬ জন মৎস্যজীবী আইনি কারণে বাংলাদেশেই আটকে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে মঙ্গলবার আটকে পড়া ট্রলার এবং মৎস্যজীবীদের নিয়ে বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি দল মঙ্গলবার কাকদ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বুধবার সকালে তাঁরা কাকদ্বীপে এসে পৌঁছয়। এর পরে সরকারি প্রক্রিয়া অনুযায়ী ওই মৎস্যজীবীদের ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।