সংক্ষিপ্ত

  • নৈহাটিতে বিস্ফোরণের পর কেটে গিয়েছে ৪৮ ঘণ্টা
  • শনিবার বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা
  • গঙ্গার জোয়ারে ভেসে গিয়েছে গোটা এলাকা
  • নমুনা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

যা হওয়ার, তা হয়ে গিয়েছে। কিন্ত তদন্ত ঠিক মতো হবে তো? নৈহাটিতে বিস্ফোরণের ৪৮ ঘণ্টা পর শনিবার ঘটনাস্থলে গেলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। এদিকে গঙ্গার জোয়ারের ভেসে গিয়েছে বিস্ফোরণস্থল, জল ঢুকেছে ১০ ফুট গর্তেও।  ফলে তদন্তে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রথমে বিস্ফোরণ ঘটেছিল একটি বাজি কারখানায়। ওই কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর বাজি উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে যখন গঙ্গাপাড়ে বাজি নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছিল, তখন ফের বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে নৈহাটি। বিস্ফোরণে তীব্রতা এতটাই ছিল যে, গঙ্গার ওপারে চুঁচুড়়াতেও কমপক্ষে ৫০০টি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটল কীভাবে? গঙ্গার তীরবর্তী ওই এলাকা পরিদর্শন করেন বম্ব ডিপোজাল স্কোয়াডের আধিকারিকরা। তাঁদের বক্তব্য, বিস্ফোরণস্থলে প্রায় ১০ ফুট গভীর একটি গর্ত তৈরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, রুপোলি রং-এর গুঁড়ো জাতীয় একটি পদার্থও উদ্ধা হয় বলে জানা গিয়েছে।  শুক্রবার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের যাওয়ার কথা ছিল, তাই বিস্ফোরণস্থলটি কালো ত্রিপল দিয়ে ঢেকেও রাখা হয়। কিন্তু সেদিন আর বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করতে যাননি ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: কুমারগঞ্জ গণধর্ষণকাণ্ডে গোপন জবানবন্দি, আদালতে হাজির নির্যাতিতার পরিবার

ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা নৈহাটির ছাইঘাটে বিস্ফোরণ পরিদর্শন করলেন শনিবার।  কিন্তু ততক্ষণে জোয়ারে জলে কার্যত ভেসে গিয়েছে বিস্ফোরণস্থল ভেসে গিয়েছে।  ১০ ফুট গর্তে জোয়ারে জল ঢুকে অনেক নমুনাও নষ্ট হয়ে গিয়েছে।  তেমনই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণস্থলে রাসায়নিক ও বারুদের নমুনা ছিল। সেগুলি যদি জলে ধুয়ে যায়, সেক্ষেত্রে তদন্তের সমস্যা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।  এদিকে শনিবার নৈহাটিতে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে যান ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংও। ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে কথা বলেন। বিস্ফোরণকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়া তুলে এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছেন বিজেপি সাংসদ।