হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সুন্দরবনের ঝিঙ্কাখালি ফরেস্টে ইয়াস পরবর্তী অবিরাম বৃষ্টির ফলে জঙ্গলের ভেতরে থাকা মিষ্টি জলের পুকুর নোনা জলে পরিণত হয়েছে।
শীত পড়তে না পড়তেই ইতিমধ্যেই সুন্দরবনে ভিড় করতে শুরু করেছেন পর্যটকের দল(Tourists in Sundarbans)। পর্যটকদের হতাশ না করে দেখাও দিয়েছে একাধিক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার(Royal Bengal Tiger)। আর তাতেই আরও বাড়ছে ভিড়। কিন্তু ভালো নেই সুন্দরবনের(Sundarbans) বাঘেরা। কারণ পানীয় জলের অভাব। এদিকে উত্তর ২৪পরগনা জেলার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সুন্দরবনের ঝিঙ্কাখালি ফরেস্টেইয়াস পরবর্তী অবিরাম বৃষ্টির ফলেজঙ্গলের ভেতরে থাকা মিষ্টি জলের পুকুর নোনা জলে পরিণত হয়েছে। যার ফলে বিপন্ন হচ্ছে প্রাণীকুল। বর্তমানে এই বিষয়েই গভীর ভাবে চিন্তিত বন দপ্তরের কর্মীরা। তাই এই সমস্যার সুরাহা খুঁজতে তারাও নেমে পড়েছে মাঠে।
একদিকে খাদ্যের অভাব অন্যদিকে পানীয় জলের সঙ্কটে জঙ্গলের অন্যান্য জীবজন্তুদের অবস্থাও আরও করুণ হয়ে উঠেছে। এদিকে ইতিমধ্যেই বাঘ শুমারিতে জানা গেছে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা প্রায় ২৩%শতাংশ বেড়ে গেছে। এটা আশার কথা অবশ্যই। কিন্তু বাঘের সংখ্যাধিক্য বাড়ার ফলে জঙ্গলে বাসস্থান খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। তারই সঙ্গেঅত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিষ্টি পানীয় জলের অভাবও তীব্র হয়েছে। এদিকে সুন্দরবনে অগুণতি জলাধার থাকলেও তার বেশির ভাগের জলই পানের অযোগ্য। সহজ কথায় নোনা জল কখনই খায়না প্রাণীকূল। তাই মিষ্টি জলের খোঁজে বারেবারেই লোকালয় হানা দিচ্ছে বাঘেরা। আর তাতেই উদ্বেগ বেড়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
আরও পড়ুন-একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে খুন সিঙ্গুরে, পলাতক অত্মীয়
পরিসংখ্যানে দেখা যাচছে গত তিন মাসে বেশ কয়েকবার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে নদী পার হয়ে লোকালয় হানা দিয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। পাশাপাশি জঙ্গলের পাশে থাকা নদীর পাড়ে বাঘের পায়ের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। যার জের আরও আতঙ্ক বাড়ছে গ্রামগুলিতে। এদিকে সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ করতে গত কয়েক বছরে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য বন দপ্তর।এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে বাঘ যে মিষ্টি জল পান করে তার জন্য দক্ষিণ ২৪পরগনার বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন জলের ট্যাঙ্ক নদীপথে এনে বাঘের খাবারের ব্যবস্থা করছি।” তবে তারপরেও কমছে না উদ্বেগ। সব মিলিয়ে লোকালয়ে বাঘের হানায় উদ্বেগ বাড়ছে জঙ্গস পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে। ঘুম উড়েছে মৎস্যজীবীদের। বারবার বাঘের আক্রমণে(tiger attack in Sundarbans) আক্রান্ত হচ্ছে মৎস্যজীবীরা, মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে রোজই। এমতাবস্থায় সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজেই নতুন করে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে ওয়াকিবহাল মহল। এখন দেখার পর্যটকদের মন হতাশ না করে,সঙ্গে গ্রামবাসীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বাঘেদের সম্পূর্ণ পরিচর্যা কিকরে করে বন দপ্তর।
