সংক্ষিপ্ত

এখনও নির্দলের হাতেই আটকে রয়েছে বেলডাঙা পুরভোটের ভবিষ্যত (Municipality Election)। জানা গিয়েছে, মোট ১৪টি আসের এই পুরসভা একক ভাবে ৭টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। নির্দল পেয়েছে ৪টি আসন। আর বিজেপি পেয়েছে ৩টি আসন। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক সমীকরণ কী হবে, তা নিয়ে আপাতত মুখে কুলুপ এঁটেছেন ঘাসফুল শিবির।

পুরভোটে এবারও উঠেছিল জোড়াফুলের ঝড়। অধিকাংশ পৌরসভায়-ই জয় হয়েছে তৃণমূলের। তবে, সব সমীকরণের একেবারে বিপক্ষে গিয়ে নজিড় গড়ল বেলডাঙা পুরসভা। শেষ পর্যন্ত পাওয়া ফলাফলের ভিত্তিতে সেখানে চারটি পুরসভায় ফলাফল ত্রিশঙ্কুর হয়েছে। আর এই ফলাফলে চিন্তার ভাঁজ পড়েথে শাসকদল তৃণমূলের (TMC) কপালে। তাই জোর কদমে শুরু হয়েছে জয়ী নির্দল ও বিজেপির মধ্যে ‘ঘোড়া কেনা বেচার’ লড়াই। তবে, এখনও নির্দলের হাতেই আটকে রয়েছে বেলডাঙা পুরভোটের ভবিষ্যত (Municipality Election)। জানা গিয়েছে, মোট ১৪টি আসের এই পুরসভা একক ভাবে ৭টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। নির্দল পেয়েছে ৪টি আসন। আর বিজেপি পেয়েছে ৩টি আসন। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক সমীকরণ কী হবে, তা নিয়ে আপাতত মুখে কুলুপ এঁটেছেন ঘাসফুল শিবির। 

এদিকে ২০১৫ সালে নির্বাচনে জিতে বেলডাঙা পুরসভায় ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। যদিও বছর ঘুরতেই আট কংগ্রেস কাউন্সিলর দল বদল করায় তৃণমূল ক্ষমতা দখল করে। তখন চেয়ারম্যান (Chairman) পদে বসেন ভরত ঝাঁওর। প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভরতবাবুকে এবার টিকিট দেয়নি তৃণমূল। ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন তিনি। ভরতপন্থী আরও দুজন নির্দল প্রার্থী জয় পেয়েছেন ৪ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। অন্যদিকে, টিকিট না পেয়ে ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দলে দাঁড়িয়ে জয়ী হন, আসমায়ারা বিবি। যদিও তিনি তৃণমূলপন্থী নির্দল হিসেবে পরিচিত। অপরদিকে, আটটি ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২, ১১ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয় হন বিজেপি (BJP)। বাম ও কংগ্রেস এবছর খাতা খুলতে পরেনি। 

২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বিদায়ী পুর প্রশাসক মধুমিতা বিশ্বাস বিজেপি প্রার্থী অনুরূপা ভাণ্ডারীর কাছে পরাস্ত হন। ফলে তৃণমূলের (TMC) বোর্ড গঠনের আশা ভঙ্গ হয়েছে। এখনও বোর্ড গঠনের দায়িত্ব তৃণমূলের হাতেই। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ ভরতপন্থী নির্দলদের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠনে বেঁকে বসেছেন। 

ভরতবাবু বলেন, ‘দল ভাঙিয়ে বোর্ড গঠনের পক্ষে আমি নেই। যেই বোর্ড গঠন করুন গঠনমূলক কাজে তাদের বাইরে থেকেই সমর্থন জানাব। তৃণমূল স্পষ্ট করে না বললেও এক নির্দল প্রার্থীকে দলে টেনেই শাসকশিবির বোর্ড গঠনের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছে বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান।’ বিজেপির জেলা নেতৃত্ব বলেন, তৃণমূল এখন ঘোড়া কেনাবেচার খেলায় মেতে উঠবে গোপনে। আমরাও সব বিষয় জারি রাখছি।   

আরও পড়ুন- BREAKING NEWS: বিমান দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আরও পড়ুন- বিরোধীদের মোকাবিলা না করতে পেরে মিথ্যে মামলা দিচ্ছে সরকার, মীনাক্ষী ইস্যুতে তোপ আব্দুলের

আরও পড়ুন- নিজের ব্যানার নিজেই ছিঁড়লেন তৃণমূল কাউন্সিলর