সংক্ষিপ্ত

  • দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্যের জের
  • জোড়া গরুর বিনিময়ে গোল্ড লোনের আবেদন
  • গড়িয়ার শ্রীনগরের বেসরকারি ঋণদানকারী সংস্থার অফিসের ঘটনা
  • বেকার যুবকদের নামে গরুর বিনিময়ে ঋণের আবেদন
     

গরুর দুধে রয়েছে খাঁটি সোনা। গরুর পিঠের কুঁজোতে আছে স্বর্ণনাড়ি! বিজেপি রাজ্য সভাপতি এবং খড়্গপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের এ হেন দাবিতে বেজায় অস্বস্তিতে পড়ল গড়িয়ার একটি স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থার অফিস। কারণ একজোড়া গরু নিয়ে সটান সেখানে হাজির হয়ে ঋণ চেয়ে বসলেন কয়েকজন ব্যক্তি। তাঁদের দাবি, বিজেপি সাংসদের কথা অনুযায়ী গরুর দুধে সোনা, শরীরে স্বর্ণ নাড়ি আছে। তাই 'সোনার গরু' জমা রেখে তাঁদের গোল্ড লোন দেওয়া হোক।

এমনই ঘটনায় সোমবার গড়িয়ার ওই গোল্ড লোনের অফিস ঘিরে ভিড় জমে গেল সাধারণ মানুষের। এ দিন আচমকাই বেশ কিছু মানুষ দু'টি গরু নিয়ে গড়িয়ার শ্রীনগর এলাকায় ওই গোল্ড লোনের অফিসে হাজির হন। তাঁরা নিজেদের বেকার যুবক বলে দাবি করেন। অফিসের বাইরে গরু রেখে তাঁরা ভিতরে ঢুকে ঋণ প্রদানকারী সংস্থার অফিসের কর্মীদের কাছে ঋণ দেওয়ার আবেদন জানান। তাঁদের দাবি, দিলীপ ঘোষ একজন সাংসদ। ফলে তাঁর কথার দাম আছে। দিলীপবাবু যেহেতু বলেছেন গরুর দুধে খাঁটি সোনা এবং পিঠের কুঁজোয় স্বর্ণনাড়ি আছে, তাই গরু জমা রেখে ঋণ নিয়ে তাঁরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান। 

আরও পড়ুন- 'সোনা কোথায়', বাঁকা হেসে প্রশ্ন করছেন দিলীপের এলাকার গোয়ালারা

এমন দাবি শুনে তখন ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কর্মীরাও হাসতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ আবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কিছুক্ষণ ওই অফিসে থেকে বেরিয়ে আসেন গরুর বদলে ঋণ নিতে আসা ব্যক্তিরা। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের অবশ্য অভিযোগ, পরিকল্পনা করে বেকার যুবকদের নামে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। 

আরও পড়ুন- সোনা থাকে বলে গরুর দুধ হলদে, শুনুন দিলীপ ঘোষের তত্ত্ব, দেখুন ভিডিও

প্রসঙ্গত, গত ৪ নভেম্বর বর্ধমানের একটি সভায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন, দেশি গরুর দুধে সোনা থাকে। সেই কারণেই দুধের রং হলুদ হয়। গরুর পিঠের কাছে থাকা কুঁজোর মধ্যে থাকা স্বর্ণ নাড়িতে রোদের আলো পড়লে তা থেকে সোনা তৈরি হয় বলেও দাবি করেন দিলীপবাবু। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। দিলীপ ঘোষ অবশ্য এখনও তাঁর দাবিতে অনড়। 

দিলীপ ঘোষ এই দাবি করার পরেই হুগলির চণ্ডীতলার বাসিন্দা এক কৃষকও দু'টি গরু নিয়ে প্রথমে পঞ্চায়েত অফিস এবং তার পরে একটি বেসরকারি ঋণদানকারী সংস্থার অফিসে ঋণের জন্য গিয়েছিলেন। তাঁকেও বুঝিয়ে সুঝিয়ে ফেরত পাঠানো হয়।