সংক্ষিপ্ত
আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন
করোনা পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যবীমা বড় বিষয় হতে চলেছে
অমিত শাহ-র ভার্চুয়াল সভায় এটা স্পষ্ট
আয়ুষ্মান ভারত পশ্চিমবঙ্গের নকল করা প্রকল্প বলেছে তৃণমূল
আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তার বহু আগে মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ সাফ করে দিলেন করোনা পরবর্তী সময়ে নির্বাচনে বড় বিষয় হতে চলেছে স্বাস্থ্য। এদিন তিনি অভিযোগ করেন, করোনা মহামারির সময়ে গোটা ভারত যখন প্রধানমন্ত্রী মোদীর চালু করা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির জন্য বাংলার মানুষ তা পাচ্ছেন না। তাঁর এই অভিযোগের পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে মোদী সরকারকে নকলবাজ বলা হয়েছে।
এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাবে 'আয়ুষ্মান ভারত' প্রকল্পের সুবিধা গোটা ভারত পাচ্ছে। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, এমনকী দীর্ঘদিন বিরোধিতা করে শেষ পর্যন্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও এই কেন্দ্রীয় সরকারি স্বাস্থ্যবীমা প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার এই প্রকল্প না নেওয়ার বাংলার মানুষ তা পাচ্ছেন না। তিনি প্রশ্ন তোলেন বাংলার মানুষের কি বৃদ্ধ বাবা-মায়েদের কিংবা ছোট্ট ছেলেমেয়েদের চিকিৎসা করানোর অধিকার নেই?
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতারা বলেছেন মোদী সরকার আসলে 'নকলবাজ'। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার 'স্বাস্থ্যসাথী' প্রকল্প চালু করেছিল। এতে ৭.৫ কোটি পরিবার সুবিধা পেয়েছে। চিকিৎসার, শুশ্রুষার জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ১৫১৮টি নেটওয়ার্ক হসপিটাল যুক্ত রয়েছে এই প্রকল্পে। আড়াই বছর পর কেন্দ্র এই প্রকল্পকে নকল করে চালু করেছিল আয়ুষ্মান ভারত।
তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসলে রাজনীতি করছেন। করোনা মহামারির সময়ে তাঁর উচিত ছিল 'কার জামা বেশি সাদা' তার তুলনা না করে মানুষকে সহায়তার কথা ভাবা। যদি সত্যিই তিনি বাংলার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য চিন্তিত হতেন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে বলতেন, রাজ্যের প্রকল্প যেমন চলছে, চলুক। সেই প্রকল্পে সাহায্য লাগলে কেন্দ্রীয় সরকার করবে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চালু হয়েছিল আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। ভারতের সবচেয়ে গরীব ও আর্থিকভাবে দুর্বল ৪০ শতাংশ মানুষ বা আনুমানিক ৫০ কোটি ভারতীয় এই প্রকল্পের সুবিধা পান। এই প্রকল্পের অধীনে সরকারি ও বেসরকারি বেশ কিছু হাসপাতালে পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবীমার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। পরিষেবার সময় নগদহীন ও নথিহীন পরিষেবা পান গ্রাহকরা।