সংক্ষিপ্ত

  • আমফান আসার আগেই সজাগ প্রশাসন
  • প্রস্তুত রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী
  • ৭ হাজারের বেশি মানুষকে সরানো হল নিরাপদ স্থানে
  •  অ্যালার্ট করা হল বিদ্যুৎ ,স্বাস্থ্য,সেচ,কৃষি,দমকলকে 
     

আমফান আসার আগেই সজাগ প্রশাসন। প্রস্তুত রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কাঁচা বাড়ি থেকে সাত হাজারের বেশি মানুষকে সরানো হল নিরাপদ স্থানে। তাদের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে রাখা হল আগে থেকেই। পাশাপাশি অ্যালার্ট করা হল বিদ্যুৎ ,স্বাস্থ্য,সেচ,কৃষি,দমকল, পুলিশ সহ ২৪ টি দপ্তরকে। 

জলপথে পরিবহণ বন্ধ রয়েছে লকডাউনের ফলে। তবুও নদীতে নৌকা নামাতে নিষেধ করা হয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে জন সাধারণকে।ঝড়ের সময় বাইরে থাকতে বারণ করা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে জেলায়। ত্রিপল,শুকনো খাবার,জল সময় মতো ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।

২৪ ঘণ্টার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। হুগলি জেলা শাসক ওয়াই রত্নাকর রাও তার অফিস থেকেই সব নজরদারি করতে পারবেন।চালু করা হয়েছে হেল্প লাইন নম্বর।বিপদ হলে হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করা যাবে।বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে আমফানের মোকাবিলায়।ত্রাণ সামগ্রী বিলিতে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ব্যস্ততা রয়েছে তুঙ্গে। হুগলিতে ১১০-১২০ কিমি বেগে আমফান আছড়ে পরবে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দপ্তর। সুপার সাইক্লোন আটকানো যাবে না কিন্তু ক্ষয়ক্ষতি যতটা সম্ভব আটকানো যায় সেটাই লক্ষ্য হুগলি জেলা প্রশাসনের।

এদিকে আমফান রুখতে হুগলি জেলায় ৪৭টা ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।  ৭১১৫ জনকে ত্রাণ শিবিরে সরানো হয়েছে। রেসকিউ অপারেশনে ১৪৮ জন সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ারকে নিযুক্ত করেছে প্রশাসন। ইতিমধ্য়েই এসডিআরএফ এর একটি দল পুরশুড়া রেসকিউ ক্যাম্পে পৌঁছে গিয়েছে। দুটি স্পিড বোটকে শ্রীরামপুর ও চন্দননগরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুই হাজারের বেশি ত্রিপল বিলি করা হয়েছে সেখানে। জেলা হেড কোয়ার্টার  ছাড়াও চারটি মহকুমা ও আঠারোটি ব্লকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সাইক্লোনে টেলি যোগাযোগ অক্ষুন্ন রাখতে ব্যবহার করা হবে স্যাটেলাইট ফোন। কন্ট্রোল রুম টোল ফ্রি নাম্বার ১৮০০৩৪৫৬১৩৫ / ০৩৩-২৬৮১২৬৫২