সংক্ষিপ্ত
- সরকার থেকে দেওয়া হয়েছে আবাস যোজনা বাড়ি
- পরিবার নিয়ে ছেলে থাকে সেই বাড়িতে
- ছেলের বাড়িতে ঠাঁই হল না বৃদ্ধ দম্পতির
- কাঁচাবাড়ি ধসে পড়ে মৃত্যু হল বৃদ্ধার
সরকার থেকে দেওয়া হয়েছে আবাস যোজনা বাড়ি। কিন্তু, সেই বাড়িতে স্থান হয়নি বাবা মায়ের। বাড়ি দখল নিয়েছে ছেলে বউমা। তাই বাধ্য হয়ে পুরনো ভাঙাচোরা কাঁচা বাড়িতে থাকতেন অসহায় বাবা-মা। বাড়ির অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। তার মধ্যে কোনওরকমে মাথাগোঁজার ব্যবস্থা করেছিলেন তাঁরা। এদিকে গতকাল রাতে ভেঙে পড়ে যায় সেই বাড়ি। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে কল্যাণী জবা চট্টোপাধ্যায়ের (৫০)। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার কোটশিলা থানার প্রত্যন্ত কুড়িয়াম গ্রামে। ঘটনায় হতবাক গ্রামের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন- বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল পূর্ব বর্ধমান, ভেঙে পড়ল বাড়ি
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গতকাল রাতে রান্না করছিলেন কল্যাণী। সেই সময় বাড়ির একাংশ তাঁর উপর ভেঙে পড়ে যায়। আর সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে কোটশিলা থানার পুলিশ রাতেই দেহটি উদ্ধার করে। আজ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন কুড়িয়াম গ্রামের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন- পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অভিনব প্রতিবাদ মদন মিত্রর, গরুর গাড়ি চড়লেন বিধায়ক
স্থানীয় বাসিন্দা রাজপাল মাহাত বলেন, "আমাদের দাবি এই গরিব পরিবারগুলো যাতে সাহায্য পায়।" মৃতের স্বামী চিত্তরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছি। সেটাতে ছেলের পরিবার থাকে। তাই আমরা এই কাঁচা বাড়িতে আলাদা থাকতাম। সামান্য বৃষ্টিতেই ভেঙে পড়ল দেওয়াল। যার ফলেই এই ঘটনা।" তবে রান্না করতে করতে স্ত্রীর আকস্মিক চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
গতকাল পর্যন্ত যাঁর সঙ্গে একই ঘরে থাকতেন তিনি এভাবে চলে যাবেন এটা ভাবেই পারছেন না অসহায় বৃদ্ধ। কত সুখ দুঃখ ঝড় বৃষ্টি এই ভাঙা বাড়িতেই পার করেছেন। কিন্তু, আজকেই সব অতীত। বহুদিনই স্বামী-স্ত্রী এই বাড়িতে ছিলেন। এতদিন কিছুই হয়নি। কিন্তু, বাধ সাধল প্রকৃতি। বাড়ি ভেঙে নিমেষেই সব শেষ হয়ে গেল।
আরও পড়ুন- খুনের অভিযোগ দেহরক্ষীর স্ত্রীর, জেরার মুখে পড়তে পারেন শুভেন্দু
যদিও প্রতিবেশীদের দাবি, ছেলে যদি নিজের বাড়ির একটা কোণে বাবা-মাকে জায়গা দিত তাহলে আজ এই দিন দেখতে হত না।