সংক্ষিপ্ত

পচা গন্ধ ধরে এগোতেই গর্তের মধ্যে মিলল পচা-গলা মৃতদেহ। পুলিশ আসতেই বের হল শিহরণ জাগানো ঘটনা।

তনুজ জৈন - স্ত্রীকে খুন করে বাড়ির পিছনে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। তারপর এক সপ্তাহ ধরে দিব্যি বাড়িতে রান্না, খাওয়াদাওয়া করছিলেন স্বামী। স্ত্রীকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে পুলিশের কাছে নিখোঁজের ডায়েরিও করেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন স্বামী। মালদহের চাঁচলের স্বরূপগঞ্জের ঘটনা।

পাড়া-প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে থেকেই ওই বাড়িটি থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। তাতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়।  কয়েকজন প্রতিবেশী পচা গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে বাড়ির পিছনে একটি গর্ত দেখতে পান। একটু এগোতেই গর্তের মধ্যে তাঁরা একটি পচা-গলা মৃতদেহ দেখতে পান। এরপরই ওই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। খবর যায় পুলিশের কাছেও। এলাকায় পৌঁছায় বিরাট পুলিশ বাহিনী! ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায়, এদিন অবশ্য গর্ত খুঁড়ে দেহ তুলতে পারেনি পুলিশ।

পচা গন্ধ ধরে একটু এগোতেই গর্তের মধ্যে দেখা গেল পচা-গলা মৃতদেহ

পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, গর্তের মৃতদেহ ওই বাড়ির বাসিন্দা মহম্মদ আলির স্ত্রী কালো বিবি (৩২)-র। পুলিশি জেরার মুখে স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে স্বামী মহম্মদ আলি। সে পুলিশকে জানিয়েছে, আরও তিন সঙ্গীকে নিয়ে স্ত্রীকে খুন করেছে সে। এই স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মহম্মদ আলিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বাকি সঙ্গীদের নাম-পরিচয়ও পুলিশকে দিয়েছে আলি। সেই তিনজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তবে কি কারণে কালো বিবি-কে খুন করা হয়েছে, তা এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্য কলহ লেগে থাকত। পারিবারিক কলহ, নাকি অন্য কোনও কারণে খুন করা হয়েছে তাকে, সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সম্প্রতি, একইভাবে পরিবারের লোকজনকে খুন করে বাড়িতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। কালিয়াচকের সেই ঘটনা রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। এবার চাঁচলে প্রায় একইরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। দুই  ঘটনার মধ্যে আরও কোনও মিল আছে কিনা, এলাকা জুড়েই এখন সেই আলোচনাই চলছে।