সংক্ষিপ্ত
- হায়দরাবাদ কাণ্ডের ছায়া এ রাজ্যেও
- কুমারগঞ্জে কালভার্টের নীচে মিলল মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ
- অবশেষে জানা গেল মৃতার পরিচয়
- হাসপাতালে দেহটি শনাক্ত করলেন পরিবারের লোকেরা
দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন, সন্ধের পর থেকে বন্ধ ছিল মোবাইলও। দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে মৃতার দেহটি শনাক্ত করলেন পরিবারের লোকেরা। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন তাঁরা।
কালভার্টের নীচ থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে কেন? সোমবার সকালে নেহাতই কৌতুহলবশে কালভার্টের নীচে উঁকি দিয়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে সাফানগরের পাকুড়তলার বাসিন্দারা। উঁকি দিয়ে তাঁরা যা দেখতে পান, তাতে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই কালভার্টে নীচে পড়েছিল এক মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ। সেখান থেকেই ধোঁয়া বেরোচ্ছিল। খবর দেওয়া হয় কুমারগঞ্জ থানায়। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের পর মৃতদেহটি কালভার্টের নীচে ফেলে দিয়েছে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ওই মহিলাকে যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নুলি কেটে খুন করা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে সে বিষয়ে পুলিশের কোনও সন্দেহ নেই বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু খুনের আগে কি ধর্ষণ করা হয়েছিল? নিশ্চিত নন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: জঙ্গলে বাঘের ভয়, লালগড়ে মাইকিং করে প্রচার শুরু বনদপ্তরের
এদিকে আবার মৃতার পরিচয়ও জানা যাচ্ছিল না। শেষপর্যন্ত সোমবার বেলার দিকে বালুরঘাট হাসপাতালে মর্গে দেহটি শনাক্ত করেন মৃতার পরিবারের লোকেরা। জানা যায়, ওই মহিলার বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরেরই গঙ্গারামপুরের উদয়গ্রাম পঞ্চায়েতে পঞ্চগ্রামে। পরিবারের লোকেদের দাবি, রবিরার দুপুরে চাদর কেনা জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি, আর ফেরেননি। সন্ধের পর থেকে বন্ধ ছিল মোবাইল ফোনটিও। মৃতার বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে ওই মহিলাকে স্থানীয় অশোকগ্রামে একটি জলসায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর ধর্ষণ করে খুন করা হয় তাঁকে, এমনকী, প্রমাণ লোপাটের জন্য জ্বালিয়ে দেওয়া হয় মৃতদেহটিও।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে এক মহিলার অগ্নিগদ্ধ দেহ উদ্ধার হয় মালদহে। সেবার ঘটনারও বেশ কয়েকদিন মৃতার পরিচয় জানা গিয়েছিল। হাসপাতালে মর্গে দেহটি শনাক্ত করেছিলেন পরিবারের লোকেরা। তবে ধর্ষণ নয়, পরকীয়া সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণে প্রেমিকের হাতেই খুন হয়েছিলেন ওই মহিলা। অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।