সংক্ষিপ্ত
ঝালদায় তপন কান্দু হত্যার একমাস পর নিহতের বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারী। নিহত তপনকান্দুর বাড়িতে যাওয়ার পথে শুভেন্দু বলেন, 'তৃণমূলকে ঝালদা পুরবোর্ড পাইয়ে দিতে পুলিশ এই ঘৃণ্য কাজ করেছে', বলে গুরুতর অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ঝালদায় তপন কান্দু হত্যার একমাস পর নিহতের বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারী। আর এসেই রাজ্য পুলিশকে নিশানা করলেন তিনি। নিহত তপনকান্দুর বাড়িতে যাওয়ার পথে শুভেন্দু বলেন, 'তৃণমূলকে ঝালদা পুরবোর্ড পাইয়ে দিতে পুলিশ এই ঘৃণ্য কাজ করেছে', বলে গুরুতর অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকি ঝালদা থানার আইসিকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তিনি। তপন কান্দু হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী মৃত নিরঞ্জন বৈষ্ণবের বাড়িতেও যান তিনি।
রবিবার ঝালদায় তপনকান্দু হত্যার একমাস পর নিহতের বাড়িতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার সঙ্গে ছিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক জ্যোর্তিময় সিং মাহাতো, পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়, জয়পুরের বিধায়ক নরহরি মাহাতো, দলের জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গা, বিজেপি নেতা বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী। ঝালদা শহরের নামোপাড়া থেকে তিনি মিছিলেও পা বাড়ান। স্টেশন যাওয়ার পথে জমায়েত করে বিজেপি। সেই জমায়েত স্থল থেকে শাসকদল থেকে শুরু করে রাজ্য পুলিশ, সবাইকেই তীব্র আক্রমণ করেন। এরপরেই তিনি যান ঝালদার নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর বাড়িতে।
আরও পড়ুন, ধৃত সত্যবানের হোটেল থেকেই কি তপন কান্দু খুনের ষড়যন্ত্র ? বিস্ফোরক তথ্যের তদন্তে সিবিআই
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে আমি বেশি কিছু বলবো না। হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্ত চলছে। শুধু এটুকু বলব, তৃণমূলকে ঝালদা পুরবোর্ড পাইয়ে দিতে পুলিশ এই ঘৃণ্য কাজ করেছে।'তবে তিনি শুভেন্দুর সঙ্গে একমত। বোর্ড গঠন নিয়েই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে জানান ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু।ঝালদা কংগ্রেস কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্য়েই নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু-র বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু-সহ পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।পুরুলিয়ার ঝালদায় কংগ্রেসের কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে গুরুতর অভিযোগ তোলেন স্ত্রী। নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমাদেবীর অভিযোগ, 'তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য তপন কান্দুকে চাপ দিচ্ছিলেন খোদ ঝালদা থানার আইসি। এমনকি কথা না শুনলে গুম করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন পূর্ণিমাদেবী।
তিনি আরও বলেন,' এই ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ঝালদা থানার আইসি। তাঁকে সঠিকভাবে জেরা করা হলে দোষীদের ধরা সম্ভব হবে।'পূর্ণিমা কান্দু বলেছেন, আইসি এই ঘটনার কালপ্রিট। আগে তপন কান্দুর হাত ভেঙে দিয়েছিলেন। সেই সময় তপন কান্দু বিজেপিতে ছিলেন। ওনার কোনও শত্রু নেই। তাকে খুন করায় ঝালদার মানুষ রং পর্যন্ত খেলেনি। রবিবার নিহত তপন কান্দু এবং তপন কান্দু হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী মৃত নিরঞ্জন বৈষ্ণবের বাড়িতে যান শুভেন্দু। পূর্ণিমা কান্দু ছাড়াও তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দুর সঙ্গেও কথা বলেন শিশির পুত্র।