সংক্ষিপ্ত
- শান্তিনিকেতনে অমিত শাহের সভা
- কৈলাসের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা
- 'এখন থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন'
- ভোটের আবহে হিংসা নিয়ে মন্তব্য কৈলাসের
আশিস মণ্ডল, বীরভূম-একুশের বিধানসভা ভোট এখনও প্রায় সাত মাস বাকি। তার আগে থেকেই বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা উচিত বলে মনে করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। রবিবার বোলপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন তিনি। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেও নিশানা করেন কৈলাস।
আরও পড়ুন-হালিশহরে বিজেপি কর্মী খুনে পুলিশের ধরপাকড় জারি, দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে থানায় বিক্ষোভ
২০ ডিসেম্বর শান্তিনিকেতনে আসতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই ব্যবস্থাপনা দেখতে শনিবার রাতেই শান্তিনিকেতনে যান কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। সঙ্গে ছিলেন বোলপুর লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা এবং বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। রাত্রিবাস পর রবিবার সকালে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে দলীয় কার্যালয়ে জেলা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সেখানে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, "আমার মনে হচ্ছে ভারতের সংবিধানের উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন বিশ্বাস নেই। তিনি মনে করেন পশ্চিমবঙ্গ ভারতবর্ষের বাইরে। এখানকার রাজা তিনিই"।
আরও পড়ুন-রাতারাতি বদলে গেল তৃণমূলের পার্টি অফিস, গুমটি ইউনিয়ন হল শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তা কেন্দ্র
তিনি আরও বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনকে আবেদন করব, যেন মানুষ নির্ভয়ে নিজের ভোট দান করতে পারেন। আর এই নির্ভয় ভোটদানের জন্য এখন থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা প্রয়োজন"। আমাদের দেশের সংবিধান আছে। যে সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্র সরকারের একটি ভূমিকা এবং রাজ্য সরকারের একটি ভূমিকা থাকে। আর এই সংবিধান অনুযায়ী দুইজনকেই নিজেদের ভূমিকা পালন করতে হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বভাব রয়েছে, যেন বাংলা দেশের অংশ নয়, সম্পূর্ণ আলাদা জায়গা। বাবা সাহেব আম্বেদকরের আইনের প্রতি তাঁর আস্থা নেই"।