সংক্ষিপ্ত
অনুব্রত মণ্ডলের পুজোর মুল আকর্ষণ সোনার গয়না। প্রথম বছর প্রতিমার গায়ে ছিল ১৮০ ভরি সোনার গয়না।
এবার অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) শ্যামা মায়ের গায়ে চড়বে ৫২০ ভরি সোনার গয়না (gold ornaments)। রবিবার বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে নিজেই জানালেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি((Birbhum District TMC president) অনুব্রত মণ্ডল। গত বছর স্ত্রী বিয়োগের কারনে নিজের হাতে মায়ের গায়ে গয়না পড়াতে পারেননি তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই দলীয় কার্যালয়ে শক্তির আরাধনায় করে আসছেন অনুব্রত মণ্ডল। পুজোর দুদিন নেই কোন রাজনীতির গন্ধ। ফলে সব শ্রেণীর মানুষ পুজোয় অংশগ্রহণ করতে পারেন।
তাঁর পুজোর মুল আকর্ষণ সোনার গয়না। প্রথম বছর প্রতিমার গায়ে ছিল ১৮০ ভরি সোনার গয়না। পরের বছর তা বেড়ে হয় ২৬০ ভরি। গতবছর ছিল ৩৫০ ভরি। এবার সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০ ভরি। হিসাব অনুযায়ী অনুব্রত মণ্ডলের শ্যামা মা সাজবেন ৫২০ ভরি সোনার গয়না দিয়ে। প্রতি বছর বোলপুরের জেলা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হয়ে আসছে শক্তি আরাধনা। পার্টি প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই এই চল দেখে আসছেন বীরভূমবাসী।
এর আগে অনুব্রত কংগ্রেসে থাকাকালীনও পুজো করতেন। অনুব্রতর কথায়, "আমি ১২ বছর বয়স থেকে পুজো করে আসছি। নিজেই ছোট বেলায় প্রতিমা গড়তাম। পরে একটু বড় হয়ে পাড়ার গলির ভিতর করতাম এই পুজো। তবে ১৯৮৮ সাল থেকে পার্টি অফিসে পুজো করে আসছি।"
অনুব্রত মণ্ডল পুজোয় আয়োজনে কোন ত্রুটি রাখেন না। ষোড়শ উপাচারে দেবীর পুজো হয় পঞ্জিকা মেনে। সারা দিন উপবাসী হয়ে পুষ্পাঞ্জলি দেন তিনি। গত বছর স্ত্রী বিয়োগের কারনে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হয়নি। এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য জেলা প্রায় সব তৃণমূল নেতাই হাজির থেকে মাকে অলংকার উপহার দেন। তাদের কেউ বা মনস্কামনা পূর্ণ হবার জন্য, আবার কেউ ভালোবেসে মা’কে উপহার দেন।
অনুব্রত মণ্ডল বলেন, "মা আমাকে আজ পর্যন্ত নিরাশ করেননি। যা চেয়েছি তাই দিয়েছেন দু’হাত ভরে। শুধু আমাকে নয়, ভক্তি ভরে যে যা ছেয়েছেন তিনি তাই পেয়েছেন। মায়ের অলঙ্কার আমাকে কিনে দিতে হয় না। নিজের অলংকার মা নিজেই করে নেন। তার জন্য কাউকে কোন দিন কিছু বলার দরকার হয় না। মা দলের নেতা থেকে মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে সাধারণ কর্মী এক কথায় সকলকেই দু’হাত তুলে আশীর্বাদ দেন"।
বাংলার উন্নয়ন নিয়ে মোদীর সঙ্গে কথা অধীর চৌধুরির, নতুন স্থল বন্দর তৈরির প্রস্তাব
এই পাঁচ বলিউড সেলিব্রিটির কেরিয়ার প্রায় নষ্ট করে দিয়েছিলেন সলমন খান
Bank holidays November 2021- নভেম্বরে ১৭ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন বাংলায় কবে
কিছুদিন আগেই কঙ্কালীতলায় মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয় বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে। অবশ্যই এই মহাযজ্ঞের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সকাল আটটা থেকে এই মহাযজ্ঞের সূচনা হয়। মহাযজ্ঞ চলে টানা প্রায় ১২ ঘণ্টা। এই মহাযজ্ঞ চলাকালীনই সেখানে হাজির হয়ে মায়ের আরাধনা করেন অনুব্রত। মহাযজ্ঞ আয়োজিত হয় ১১ জন পুরোহিতের উপস্থিতিতে। মহাযজ্ঞের উপকরণ হিসাবে ছিল ১৬৫ কেজি কাঠ, ৫ টিন অর্থাৎ ৭৫ কেজি ঘি।
বৃহস্পতিবারের কঙ্কালীতলায় মহাযজ্ঞকে ঘিরে তৃণমূলের দলীয় কর্মী সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষদের মধ্যে উৎসাহ চোখে পড়ার মতো ছিল। সকাল থেকেই মহাযজ্ঞকে ঘিরে উৎসাহী মানুষ থেকে দলীয় কর্মী সমর্থকরা ভিড় জমান কঙ্কালীতলায়।
এর আগেও ভবানীপুর উপনির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় কামনা করে বিশাল পুজো দেন অনুব্রত। নলাটেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেন অনুব্রত মন্ডল । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জয় কামনায় এদিন পুজো দেন তিনি। এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে তিনি পুজো দিয়েছেন বলে জানান অনুব্রত মন্ডল। পুজো দিয়ে তিনি জানিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১ লক্ষ ভোটে জিতবেন।
অনুব্রত বরাবরই জানান মায়ের কাছে তিনি যা চান, তাই পেয়ে যান। আগের বারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিয়ে পুজো দিয়ে ফল পেয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি ছিল মাকে তিনি সব কথা বলেন। মা তাঁর কথা রাখেন।