সংক্ষিপ্ত
ইডি হোক কিংবা সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত বিভাস চন্দ্র অধিকারী। শনিবার তার কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের ফ্ল্যাট সিল করে দেয় ইডি। যেখানে তিনি একটি কোচিং সেন্টার চালাতেন বলে দাবি করছে ইডির আধিকারিকরা। যদিও এই দাবি মেনে নিয়েছেন বিভাস অধিকারী।
ইডি হোক কিংবা সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত বিভাস চন্দ্র অধিকারী। শনিবার তার কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের ফ্ল্যাট সিল করে দেয় ইডি। যেখানে তিনি একটি কোচিং সেন্টার চালাতেন বলে দাবি করছে ইডির আধিকারিকরা। যদিও এই দাবি মেনে নিয়েছেন বিভাস অধিকারী। তবে তাঁর কলকাতার ফ্ল্যাটে ইডির তল্লাশির খবর পাওয়ার পরেই তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হওয়ার কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানান।
বিভাস চন্দ্র অধিকারী কে?
বিভাস চন্দ্র অধিকারী বর্তমানে বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি। বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের কৃষ্ণপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তার নেতৃত্বে লড়াই করে পরাজিত হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী অসিত মাল। তিনি কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদের কাছে পরাজিত হন। এনিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে উন্নয়ন বাহিনীর দাপটে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সব আসনে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে হাসন বিধানসভা পুনরুদ্ধার করেন।
মন্দিরে বিজেপি ও তৃণমূল নেতাদের যাতায়াত
গ্রামেই কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলেন ঠাকুর অনুকুল চন্দ্রের আশ্রম। ঠাকুরের বাংলাদেশের হিমাইতপুরের মন্দিরের আদলে নিজের গ্রামে মন্দির গড়েন তিনি। ওই আশ্রমে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানস ভূঁইয়া, মুকুল রায়, বিজেপির কৈলাশ বিজয় বর্গী, রুদ্রনীল ঘোষ সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতারা এসেছেন।
বিভাসের মানিক-যোগ
বিভাসবাবুর সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য এর ঘনিষ্ঠতা ছিলো। বিরোধীদের অভিযোগ, বিভাস চন্দ্র অধিকারী টাকা নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির পাইয়ে দিয়েছেন। কৃষ্ণপুর গ্রামে তার একটি টিচার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট আছে। শনিবার বিকেলে দলের বিজয়া সম্মেলনে মঞ্চ আলো করে বসেছিলেন। কলকাতার ফ্ল্যাট সিল করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। দীর্ঘদিন ওই ফ্ল্যাটে যায়নি। ফলে ঘরে তালা ঝোলানো ছিল। ইডি সন্দেহের বশে ফ্ল্যাট সিল করেছে। আমি ইডির মুখোমুখি হতে প্রস্তুত।
কলকাতার ফ্ল্যাটে রহস্যভেদ
কলকাতার ফ্ল্যাটের আবাসিক ইডি ও সংবাদ মাধ্যমকে লোকজনের আনাগোনার অভিযোগ করেন। সেই সঙ্গে বড় বড় ট্রাঙ্ক ফ্ল্যাটে ঢোকানোর কথা জানান। এপ্রসঙ্গে বিভাসবাবু বলেন, "আশ্রমের লোকজন বিভিন্ন কাজে কলকাতা গেলে সেখানে উঠতেন। তাছাড়া গ্রামের কেউ চিকিৎসার জন্য কলকাতা গেলে ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। ফলে লোকজনের যাতায়াত বেশি ছিল। তবে ট্রাঙ্ক এর অভিযোগ ঠিক নয়"। বিভাসবাবু চান তদন্ত হোক।
পাকিস্তানের হাসপাতালে পচাগলা ২০০ দেহ কি বালোচ বা পাশতুনদের? উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির সঙ্গে টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারের যোগ? এবার মানিক-ঘনিষ্ঠের সেন্টারে ইডি অভিযান
কোচিং সেন্টার থেকেই কি টাকা দিতেন চাকরি প্রার্থীরা? শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ED তল্লাশিতে উঠছে প্রশ্ন