সংক্ষিপ্ত
পুলিশ জানাচ্ছে এই বাসের চালক একের পর এক এই ধরণের দুর্ঘটনা ঘটাতে বেশ অভ্যস্ত। ইতিমধ্যেই বুধবার সকালে অভিযুক্ত বাসের চালক ও কনডাক্টরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্টপেজে থামেনি বাস। দ্রুত গতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল। সেই চলন্ত বাস থেকে নামতে গিয়ে পা ভাঙল দশম শ্রেণীর ছাত্র ঋষভ সাহা। দক্ষিণ কলকাতার কসবার ঘটনা। মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে আসল তথ্য এটা নয়। জান গিয়েছে যে ৩সি/১ রুটের যে বাসটি এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত, তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই ৪৪৭টি অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। অর্থাৎ এর আগে ৪৪৭ বার ট্রাফিক আইন ভাঙার রেকর্ড রয়েছে এই বাসটির চালক ও কনডাক্টরের বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানাচ্ছে এই বাসের চালক একের পর এক এই ধরণের দুর্ঘটনা ঘটাতে বেশ অভ্যস্ত। ইতিমধ্যেই বুধবার সকালে অভিযুক্ত বাসের চালক ও কনডাক্টরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ আধিকারিকরা জানাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৪৪৭টি অপরাধের মধ্যে সিংহভাগই সিগন্যাল না মানা ও ওভারটেক করার ঘটনা রয়েছে।
মঙ্গলবার হরিদেবপুরের বরোদা সরণির বাসিন্দা বছর ১৫-এর ঋষভ সাহা কসবায় তার স্কুলের কাছে বাস থেকে নামতে যাচ্ছিল। কিন্ু বাসটি সঠিক জায়গায় না থেমে চলতে থাকে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে "সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে ছেলেটি যখন বাসটি থেকে নামার চেষ্টা করছিল তখন বাসটি চলছিল,"। ঋষভের বাবা মহাদেব সাহা জানান, তার ছেলে জানায় বাসের কন্ডাক্টর চলন্ত বাস থেকেই ছেলেটিকে নামতে বলে।
ট্রাফিক পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ওই কিশোর দৃশ্যত পিছলে বাসের হ্যান্ডেলবারের উপর থেকে দখল হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রের বাম টিবিয়াতে একটি ফ্র্যাকচার এবং তার বাম গোড়ালিতে একটি গভীর ক্ষত তৈরি হয়। আহত কিশোরের বাবা জানান আপাতত ঠিক আছে তাঁর ছেলে। বৃহস্পতিবার তাকে আইসিইউ থেকে সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছো ঋষভ সাহা। ফ্র্যাকচার ঠিক করতে মঙ্গলবার বিকেলে ছেলেটির অস্ত্রোপচার করা হয়।
বাসের চালক এবং কন্ডাক্টর, যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় র্যাশ এবং অবহেলা করে ড্রাইভিং এবং অবহেলার কারণে গুরুতর আঘাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের রেকর্ড অনুসারে, ২০২১ সালে কলকাতায় পথ দুর্ঘটনায় ১৯৬ জনের মতো মানুষ মারা গিয়েছিল। এর মধ্যে ৪৩টি দুর্ঘটনা বাসের সাথে জড়িত।
বাসে যাতায়াতকারী অনেক যাত্রী অভিযোগ করেছেন যে বাসগুলি নির্দিষ্ট জায়গায় থামে না বা যাত্রীদের গাড়িতে উঠতে বা নামতে পর্যাপ্ত সময় দেয় না।