সংক্ষিপ্ত
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার প্রতিবাদে শুরু হওয়া আন্দোলন ক্রমশঃ রাজ্য সরকারের হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গেই এবার আন্দোলনে সামিল হয়েছেন সিনিয়র ডাক্তাররা।
এতদিন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন। এবার সরাসরি এই আন্দোলনের প্রতি সংহতির বার্তা দিয়ে গণ ইস্তফা দিলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররা। মঙ্গলবার পঞ্চমীর দিন রাজ্যজুড়ে যখন দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে, তখনই পদত্যাগ করলেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার। তাঁরা জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনকে সমর্থন করেছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াতেই ইস্তফা দিলেন সিনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার থেকে ধর্মতলায় অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা। এরই মধ্যে তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কিন্তু আন্দোলন চলছে। এবার একসঙ্গে এতজন সিনিয়র ডাক্তার ইস্তফা দেওয়ায় রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি হাসপাতাল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হতে চলেছে।
মুখ্যসচিবের আশ্বাসের পরেও গণ ইস্তফা
সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেন, '১০ তারিখের মধ্যে রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলির ৯০ শতাংশ উন্নয়নমূলক কাজ শেষ হয়ে যাবে। আমরা সবাইকে কাজে ফিরে আসতে অনুরোধ করছি। অনেকে ফিরেছেন। বাকিরাও ফিরুন। মানুষকে পরিষেবা দিন। আমরা সবাই মিলে হাসপাতালের পরিবেশের উন্নতির চেষ্টা করছি। কাজ যে হচ্ছে, সেটাও দেখা যাচ্ছে।' হাসপাতালগুলিতে সিসিটিভি-র ব্যবস্থা করা, রেফার বন্ধের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বললেও, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা এবং অন্যান্য দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে কিছু বলেননি মুখ্যসচিব। তাঁর বার্তার পরের দিনই সিনিয়র ডাক্তারদের গণ ইস্তফায় সরকারের উপর চাপ বাড়ল।
লাটে উঠবে চিকিৎসা পরিষেবা?
প্রতিবারই পুজোর সময় সরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসদের দেখা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ ওঠে। এবার একসঙ্গে এতজন সিনিয়র ডাক্তার ইস্তফা দেওয়ায় চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'এই নয় যে আমরা হনুলুলু থেকে উঠে এসেছি,' জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন নিয়ে হুঁশিয়ারি মদনের
বাড়ির পুজো বন্ধ, মেয়ের বিচারের দাবিতে ষষ্ঠী থেকে ধর্নায় আর জি করে নির্যাতিতার পরিবার