সংক্ষিপ্ত
শনিবার থেকে চলছে অনশন। অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেদিন থেকে পুলিশ অসহযোগিতার করেছেন তারা। গত রাতে মিলল তারই প্রমাণ।
জুনিয়র ডাক্তাররা অভিযোগ করেছেন, নির্মল চন্দ্র স্ট্রিটে দুটি ভ্যান বাজেয়াপ্ত করেছে বৌবাজার থানার পুলিশ। তাতে ছটি খাট, ছটি সবুজ চেয়ার ছিল। খবর পেয়ে বৌ বাজার থানার সামনে ভিড় জমান জুনিয়র ডাক্তাররা। পুলিশের সঙ্গে বচসা লাগে।
জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, পুলিশ সিজার লিস্ট বানাচ্ছেন। খাট আর চেয়ার টেবিল খুবই বেআইনি জিনিস। তাই ওঁরা বাজেয়াপ্ত করছে। এরপরই শুরু হয় বিক্ষোভ। বৌবাজার থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারী এক ডাক্তার বলেন, পুলিশ বারবার করে ডেকোরেটার্সের মালপত্প আনতে বাধা দিচ্ছে। গাড়ির লাইসেন্স কেড়ে নিচ্ছে। মালপত্র তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে। ভয় দেখাচ্ছে। এরপর ফের আরও একবার উঠল তেমনই অভিযোগ।
এদিকে এই ঘটনার পর বৌ বাজার থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় আন্দোলনকারীরা। স্লোগান তোলেন, কলকাতা পুলিশ তোমার নাকি শিরদাঁড়াটা নাই/ কষ্ট করে দিলাম যেটা বেচে দিলে ভাই, শিরদাঁড়াটা ভালো না/ ওয়েলেক্সও নেবে না।
ধীরে ধীরে এদিন জমায়েত বাড়তে থাকে। পুলিশের পক্ষ থেকে বৌ বাজার থানার গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। গেটের সামনে পাহাড়া দিতে দেখা যায় মহিলা পুলিশ আধিকারিরকদের। শেষ পাওয়া খবর বলছে রাত ১০টা নাগাদ ডাক্তারদের খাট ও চেয়ার ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এখনও চলছে প্রতিবাদ। আজ জোড়া কর্মসূচি আছে জুনিয়র ডাক্তারদের। একদিকে চলছে প্রতীকী অনশন অন্যদিকে হবে মিছিল।