Mysterious Death News: শহরে ফের হোটেল থেকে রহস্যজনক মৃতদেহ। গেস্ট হাউস থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির দেহ। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Crime News: বুধবার সকালে বড়বাজারে ক্যানিং স্ট্রিটে অবস্থিত ‘নিউ গুজরাট গেস্ট হাউস’-এর তৃতীয় তলায় এক অতিথির রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। মৃতের নাম পবন কুমার দাস (৩৭), বাড়ি জলপাইগুড়ির মালবাজারের বাতাই গোল বাজার এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, সকাল প্রায় ৬টা ৪০ মিনিটে গেস্ট হাউসের সহকারী ম্যানেজার তিলক কুমার শ’ ফোন করে জানান, এক পুরুষ অতিথিকে রক্ত ও বমিতে ভেজা অবস্থায় অচেতন পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তাঁকে তড়িঘড়ি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল ৮টা ২০ মিনিটে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
প্রাথমিক তদন্তে দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। এখনও পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। মৃতের ভাই শুভম দাসকে খবর দেওয়া হয়েছে। ঘটনার কারণ জানতে ময়নাতদন্ত ও প্রয়োজনীয় তদন্ত চালাচ্ছে বড়বাজার থানার পুলিশ।
অন্যদিকে, গত ৯ অগাস্ট 'নবান্ন অভিযানে' পুলিশকে মারধরের ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার। উত্তর ২৪ পরগণার জগদ্দলের বাসিন্দা চন্দন গুপ্তকে গ্রেফতার করেছে নিউমার্কেট থানার পুলিশ। মঙ্গলবার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট এবং বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের সংযোগস্থলের রাস্তা থেকে এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ব্যক্তি বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ এবং বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতার গার্ডকে মারধরের ঘটনায় চন্দন গুপ্তের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৯ অগাস্ট আরজি.করের নির্যাতিতা নিহত তরুণীর ন্যায় বিচারের দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন অভয়ার বাবা-মা। তাদের ডাকে সেদিন নবান্ন অভিযানে দলীয় পতাকা ছাড়াই সামিল হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি সহ বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। জানা গিয়েছে, শুভেন্দুদের সেই মিছিল পার্ক স্ট্রিটের কাছে এগোতেই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি-মারপিট। দফায়-দফায় সঙ্ঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিযোগ, সেই সময় পুলিশের ওপর হামলা চালায় অভিযুক্ত চন্দন গুপ্ত। এমনকি ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতা ও কনস্টেবল প্রশান্ত পোদ্দারকে রাস্তায় ফেলে মারধর, খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। নিউ মার্কেট থানা এলাকায় ইটের আঘাতে মাথা ফাটে এক পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন আরও অনেক পুলিশ কর্মী।
অন্যদিকে, শোকের আবহে নষ্ট হয়ে গিয়েছে মানসিক স্থিতিশীলতা। ঠিক থাকছে না কথার। একসময় একরকম ভাবছেন তো পরক্ষণেই অন্যরকম মেজাজ। এমন মানসিক অস্থিরতা, বিপর্যয়ের কারণে আরজিকরের মৃত তরুণী চিকিৎসকের মা বাবাকে আন্দোলন থেকে সরে আসার নির্দেশ দিল চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি করের আন্দোলনে একাধিক সময় দেখা গিয়েছে চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই কারণে তিনি অভয়ার মা-বাবাকে কাছ থেকে দেখেছেন। সদ্য তিনিই অভয়ার মা-বাবার সম্পর্কে মুখ খুললেন। তিনি বললেন, অভয়ার মা-বাবা পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডারে ভুগছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে


