Kolkata Crime News: নবান্ন অভিযানের দিন কলকাতা পুলিশের ওপর পরিকল্পিত ভাবে হামলার অভিযোগ। এবার গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Kolkata News: গত ৯ অগাস্ট 'নবান্ন অভিযানে' পুলিশকে মারধরের ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার। উত্তর ২৪ পরগণার জগদ্দলের বাসিন্দা চন্দন গুপ্তকে গ্রেফতার করেছে নিউমার্কেট থানার পুলিশ। মঙ্গলবার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট এবং বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের সংযোগস্থলের রাস্তা থেকে এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ব্যক্তি বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ এবং বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতার গার্ডকে মারধরের ঘটনায় চন্দন গুপ্তের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৯ অগাস্ট আরজি.করের নির্যাতিতা নিহত তরুণীর ন্যায় বিচারের দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন অভয়ার বাবা-মা। তাদের ডাকে সেদিন নবান্ন অভিযানে দলীয় পতাকা ছাড়াই সামিল হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি সহ বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। জানা গিয়েছে, শুভেন্দুদের সেই মিছিল পার্ক স্ট্রিটের কাছে এগোতেই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি-মারপিট। দফায়-দফায় সঙ্ঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। অভিযোগ, সেই সময় পুলিশের ওপর হামলা চালায় অভিযুক্ত চন্দন গুপ্ত। এমনকি ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতা ও কনস্টেবল প্রশান্ত পোদ্দারকে রাস্তায় ফেলে মারধর, খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। নিউ মার্কেট থানা এলাকায় ইটের আঘাতে মাথা ফাটে এক পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন আরও অনেক পুলিশ কর্মী।
অন্যদিকে, শোকের আবহে নষ্ট হয়ে গিয়েছে মানসিক স্থিতিশীলতা। ঠিক থাকছে না কথার। একসময় একরকম ভাবছেন তো পরক্ষণেই অন্যরকম মেজাজ। এমন মানসিক অস্থিরতা, বিপর্যয়ের কারণে আরজিকরের মৃত তরুণী চিকিৎসকের মা বাবাকে আন্দোলন থেকে সরে আসার নির্দেশ দিল চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি করের আন্দোলনে একাধিক সময় দেখা গিয়েছে চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই কারণে তিনি অভয়ার মা-বাবাকে কাছ থেকে দেখেছেন। সদ্য তিনিই অভয়ার মা-বাবার সম্পর্কে মুখ খুললেন। তিনি বললেন, অভয়ার মা-বাবা পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডারে ভুগছেন।
এদিকে বিজেপির ডাকা নবান্ন অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন অভয়ার মা-বাবা। পুলিশ তাঁদের গায়ে হাত তোলে বলে খবর আসে। তবে, তার কোনও ভিডিও প্রকাশ পায়নি। এই নিয়ে জলঘোলাও হয়েছে বিস্তর। এরই মাঝে ভাইরাল হল চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য। তিনিন বলেন, এই রকম মনের অবস্থায় কোনও দলের অভয়ার মা-বাবাকে টেনে নিয়ে যাওয়া অমানবিক। যে সমস্ত রাজনৈতিক দল তাঁদের জোর করে মিছিল-মিটিং-এ নিয়ে যাচ্ছে তাদের বারণই করছেন তিনি।
ঠিক কী হয়েছে অভয়ার মা-বাবার? চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার বা পিটিএসডিতে ভুগছে তারা। এর উপসর্গ হল অ্যরাইজাল অ্যান্ড রিঅ্যাক্টিভিট সিম্পটম। এমন রোগীরা হঠাৎ চমকে যান। আকস্মিক রাগে ফেটে পড়েন। ওই ব্যক্তির শুতে, খেতে, মনঃসংযোগ করতে কিংবা সাধারণ কাজকর্মে অসুবিধে হয়।
একাধিকবার অভয়ার মাক রাগের মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। এক্ষেত্রে রোগী ডিপ্রেশনে চলে যান। মনগড়া কথা বলেন। চিন্তা তাঁকে গ্রাস করে। তিনি বলেন, ওর মাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভীষণ মুড সুইং হচ্ছে। তিনি বলেন, তাঁদের কেস থেকে আপাতত সরিয়ে রাখা হোক। এর মধ্যে আর ওঁদের না জডানোই ভালো। চিকিৎসকের পরামর্শ, এখন তাদের মেডিটেশন অথবা মনঃসংযোগ দরকার। প্রয়োজন সাইকোথেরাপির।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে


