সংক্ষিপ্ত
ফিরহাদ হাকিমের ওএসডি কালীচরণের বিরুদ্ধে শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ করেন অয়ন ঘোষ দস্তিদার নামে এক ব্যক্তি। তিনি ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে কর্মরত।
আবারও প্রকাশ্যে এল তৃণমূল কংগ্রেস বনাম তৃণমূল কংগ্রেস দ্বন্দ্ব। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ওএসডি বা অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে। আর সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ে দফতরের এক কর্মী। কলকাতার শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের এই দ্বন্দ্বে আবারও প্রকাশ্যে এসেছে।
তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে কালীচরণ জানিয়েছেন, তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না। 'যা বলার মেয়র সাহেব বলবেন।' অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিম বলেন তাঁর কাছে এই বিষয়ে কোনও খবর ছিল না। পাশাপাশি তাঁকে এই ঘটনার কথা আগে জানান হয়নি।
ফিরহাদ হাকিমের ওএসডি কালীচরণের বিরুদ্ধে শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ করেন অয়ন ঘোষ দস্তিদার নামে এক ব্যক্তি। তিনি ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে কর্মরত। অভিযোগে বলা হয়েছে, কালীচরণ টাকা তুলছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম করে। শুক্রবার বিধানসভায় গিয়েছিলেন ফিরহাদ। সেখানেই তিনি বলেন, 'আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানি না। সংবাদ মাধ্যম থেকে সদ্য জানতে পেরেছেন। যদি এমন কোনও অভিযোগ থাকত তাহলে তাঁকেই আগে জানান যেত। আমি বিভাগীয় তদ্তের ব্যবস্থা করতাম। এখন একটা মানুষের নামে যদি এমন কোনও অভিযোগ আসে যার ভিত্তি নেই। তাঁকে আমি কী করে সরাব? এই অভিযোগ আমি কোনও দিন আগে শুনিনি।'
তবে এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনিও বিধানসভায় গিয়েছিলেন। বলেন, 'কালী টাকা তোলে আমি আগেই বলেছিলাম। তপসিয়ায় ২০০ কোটি টাকা খরচ করে তৃণমূল ভবন তৈরি হচ্ছে। কালীকে দায়িত্ব দেওযা হয়েছে সেই টাকা তোলার। যিনি ওই ভবন তৈরির দায়িত্বে আছেন কালী টাকা তুলে তাঁকেই দিচ্ছেন।' শুভেন্দুর কথায় কালীচরণের সাতখানা ফ্ল্যাট আছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকেও বেশি সম্পত্তির মালিক কালীচরণ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।