সংক্ষিপ্ত

চোখের চিকিৎসার কারণেই দুবাই গিয়েছেন অভিষেক। দশ দিনের মধ্যেই দেশে ফেরার কথা অভিষেক ও রুজিরার।

ফের শিরোনামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিবাসন সূত্রে খবর বুধবারই কলকাতা থেকে দুবাই রওনা হয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। ঘটনা ঘিরে ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। জানা যাচ্ছে বুধবার এমিরেটস-এর উড়ানে তিনি সস্ত্রীক দুবাই গিয়েছেন। চিকিৎসার কারণেই এই বিদেশ যাত্রা বলে দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। সূত্রর দাবি আমেরিকার বাল্টিমোরে চোখের চিকিৎসার কারণেই দুবাই গিয়েছেন অভিষেক। দশ দিনের মধ্যেই দেশে ফেরার কথা অভিষেক ও রুজিরার। উল্লেখ্য বুধবারই অভিষেকের মামলা উঠেছিলকলকাতা হাই কোর্টে। গত সোমবার অভিষেকের বিদেশ ভ্রমণ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্টই জানিয়েছেন অভিযুক্তের বিদেশে গা ঢাকা দেওয়ার আশঙ্কা না থাকে। সেক্ষেত্রে দেশের নাগরিকদের বিদেশে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। বিশেষত চিকিৎসাজনিত কারণে।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় স্বস্তিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার, ৩১ জুলাই পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, একথা নিজে থেকেই জানিয়ে দিয়েছে ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর খারিজ করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সময় কম থাকায় আজ এর শুনানি হয়নি। ফলত, সব পক্ষের সুবিধার কথা ভেবেই আগামী সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টেয় শুনানি হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আদালত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজিরা দেওয়া নিয়ে যে রক্ষাকবচ দিয়েছিল, গত সোমবার তার মেয়াদ শেষ হয়েছে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই মামলা থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন, ফলে এর শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। সোমবার আবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে মামলা ফিরিয়ে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি তাড়াতাড়ি তাঁর মামলার শুনানির আর্জি জানান। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়ে দিয়েছেন, সোমবারের আগে মামলার শুনানি সম্ভব নয়। এরপরই ইডির আইনজীবী এমভি রাজু আদালতে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, আগামী সোমবার পর্যন্ত অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না।