সংক্ষিপ্ত

নবান্নে এক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'একমাস হয়ে গেল, এখন উৎসবে ফিরুন।' তার এই মন্তব্যে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে কটাক্ষ করলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।

 

আরজিকর মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরতে ও সাধারন মানুষদের দুর্গাপুজোর উৎসবে মাততে অনুরোধ করেছেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের ঘোর বিরোধিতা করেছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। তিনি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদত্যাগ করতে বলেছেন। সোমবার নবান্নে এক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'একমাস হয়ে গেল, এখন উৎসবে ফিরুন।' তার এই মন্তব্যে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে কটাক্ষ করলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।

মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর বক্তব্যে জোড়ালো প্রতিবাদ জানান তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, কি বলবেন বলুন এবার? এক মাসে বাবা মা তার মেয়ের ধর্ষণ হত্যা ভুলে যাক? মানুষ আপনাদের অন্যায় আবারও মেনে নিক? চাদাঁ আর ভাতায় সব চাপা পরে যাক? সেটি আর হচ্ছে না দিদি। আপনি মানে মানে গদিটি ছাড়েন তারপর হবে আমাদের পুজো তিলোত্তমাদের পুজো। মানুষ আপনার পুজোর ফানুসে আর ভুলছেনা....RESIGN

বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্য

এর আগে সুপ্রিম কোর্টে ৫ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য থাকলেও প্রধান বিচারপতি বেঞ্চে না বসায় তারিখ পিছিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর করা হয়। এদিন শুনানির পর নবান্নে এক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এক মাস হয়ে গেল। আজ ৯ তারিখ। এক মাস একদিন। ৩১ দিনের এক মাস কেটে গেছে। আমি আপনাকে অনুরোধ করছি, পুজোয় ফিরে আসুন, উদযাপনে ফিরে আসুন। আর সিবিআইকে বলব, শীঘ্রই বিচারের ব্যবস্থা করুন। এখন এটা আমাদের হাতে নয়, সিবিআইয়ের হাতে।'

৩ সেপ্টেম্বর, জুনিয়র ডাক্তাররা লালবাজারে অভিযান চালিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তিনি বলেছিলেন যে বিনীত গোয়েল বলেছিলেন যে যদি তাকে উচ্চপদ থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয় তবে তিনি তা করবেন। সেই প্রসঙ্গও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, ৭ দিন আগে তাঁর কাছে পদত্যাগের দাবি নিয়ে এসেছিলেন বিনীত গোয়েল। তিনি তাকে পদত্যাগ করতে দেননি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, পুজো আসছে। যিনি দায়িত্বে থাকবেন তাকে আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। তাদের জানা উচিত কোথায় পুজো হয়, থিম কী, কোথায় পুলিশ মোতায়েন। 'একটু ধৈর্য ধরলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে?' মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন।