সংক্ষিপ্ত
সূত্রের খবর রাজার হাটের বাসিন্দা ওই শিশু। বয়স ছিল ৯ মাস। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় শিশুটির। তবে এই শিশুটির শরীরে অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমন ছিল কিনা সেবিষয় এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
অ্যাডিনো ভাইরাস ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে উদ্বেগ। আজও শহরের দুই হাসপাতালে মৃত্যু হল দুই শিশুর। বুধবার রাতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকালে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে মৃত্যু হয় অপর একজনের। জানা যাচ্ছে বুধবার রাত পৌনে ১০টা নাগাদ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় এক বছর দু'মাসের একটি শিশুর। সূত্রের খবর শিশুটির বাড়ি ফুলিয়ায়। কৃষ্ণনগর থেকে তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়ছিল। নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। বুধবার রাতে মৃত্যু হয় তার। অন্যদিকে জ্বর ও সর্দি কাশির উপসর্গ নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অপর একটি শিশুকে। সূত্রের খবর রাজার হাটের বাসিন্দা ওই শিশু। বয়স ছিল ৯ মাস। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় শিশুটির। তবে এই শিশুটির শরীরে অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমন ছিল কিনা সেবিষয় এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, সোমবার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে দু'জন শিশুর। এরা দু'জনেই জ্বর-সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। অন্যদিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। এদের প্রত্যেকেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিল বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে এরা প্রত্যেকেই অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্ত কি না সেবিষয় এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। উল্লেখ্য যে সমস্ত শিশুরা অ্যাডিনো ভাইরাস জনিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় মারা গিয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে ডাক্তাররা অ্যাডিণ ভাইরাল নিউমোনিয়া লিখছেন। এখন দেখার যে এই শিশুরা আদৌ অ্যাডিনো ভাইরাস জনিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত নাকি অন্য কোনও ইনফ্লুয়েঞ্জায়?
আজ মেডিক্যাল কলেজেও মৃত্যু হয়েছে একটি সাড়ে আট মাসের শিশুর। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর শিশুটির বাড়ি হরিপালে। গত ২৫ তারিখ চুচুড়া ইমামবারা হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়েছিল। গতকাল রাত দেড়টা নাগাদ মৃত্যু হয় শিশুটির। হাসপাতাল সূত্রে খবর শিশুটির জ্বর ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা থাকলেও তার অ্যাডিনোভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। ফলত ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে রেসপিরেটরি ইলনেসের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্যে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ৯৮ ছুঁয়েছে। এর মধ্যে সিংভাগই সরকারি হাসপাতালে, বিশেষত বিসি রায় শিশু হাসপাতালে।
প্রসঙ্গত, গতকাল পর্যন্ত ৯ দিনে বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৩৮টি শিশুর। গত ৩০ দিনে একাধিক শিশু জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে একাধিক শিশু। রবিবার সকালেই মারা গিয়েছে তিনজন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বুধবার সকালে বি সি রায় শিশু হাসপাতাল পরিদর্শনে এলেন স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা। এদিন বি সি রায় শিশু হাসপাতালের অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকও করেন তাঁরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেয়র কাউন্সিল এবং এখানকার রোগী কল্যাণ সমীতির সদস্য স্বপন সমাদ্দার। বৈঠকের পাশাপাশি এদিন হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে রোগীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। রোগীর পরিজনের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। তবে ডাক্তারদের সম্মন্ধে রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ করা হয়নি বলেই জানান তিনি।
আরও পড়ুন -
একের পর এক শিশু মৃত্যু! স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিধানসভায় বিক্ষোভ বিজেপির
গত দু'মাসে রাজ্যে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা ৯৮, আজ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হল এক শিশুর
ক্রমেই বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ, গত ৯ দিনে কলকাতায় মৃত্যু ৩৮টি শিশুর