সংক্ষিপ্ত

কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশের নিচু তলার কর্মীরা একটি বৈঠক করেছেন। সেখানে ১৪টি প্রস্তাবও তারা গ্রহণ করেছে। সেই প্রস্তাব কলকাতা পুলিশের বড় কর্তাদের পাঠান হবে বলেও জানা গেছে।

 

আরজি কর ইস্যুতে কলকাতা পুলিশের একাংশের মধ্যে বাড়ছে আতঙ্ক। গত শনিবার আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণী খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সিবিআই গ্রেফতার করেছে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। এবার তারপরই নিচু তলার কর্মী বিশেষ করে কলকাতা পুলিশের ইন্সপেক্টর লেবেলের আধিকারিকদের মধ্যে চাপ বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, উঁচু তলার কর্তাদের নির্দেশে দায়িত্ব পালন করেন জন্যই গ্রেফতার করা হয়েছে চালা থানার ওসিকে। এই পরিস্থিতি এজাতীয় গ্রেফতার বা হেনস্থা এড়াতে তারা কী করবে তাই নিয়েও একদফা বৈঠক করেছে বলে সূত্রের খবর।

কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, পুলিশের নিচু তলার কর্মীরা একটি বৈঠক করেছেন। সেখানে ১৪টি প্রস্তাবও তারা গ্রহণ করেছে। সেই প্রস্তাব কলকাতা পুলিশের বড় কর্তাদের পাঠান হবে বলেও জানা গেছে। সূত্রের খরব অভিজিৎ মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরেই কলকাতা পুলিশের নিচু তলার কর্মীরা তৎকালীন নগরপাল বিনীত গোয়েলের কাছে গিয়েছিল। তারা সেই সময় স্পষ্ট করে জানিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ কলে কোনও নির্জেশ তারা আবর নেবে না। এই পরিস্থিতিতেই নিচু তলার কর্মীদের ক্ষোভ কমাতে অভিজিতের বাড়িতে পাশে থাকার বার্তা নিয়ে গিয়েছিল পুলিশের বড় কর্তারা।

কলকাতা পুলিশের নিচু তলার কর্মীদের বৈঠকে দাবি উঠেছে অভিজিৎ মণ্ডলকে আইনি সাহায্য দিতে হবে। ব্যায়ভারও বহন করতে হবে। গ্রেফতার হওয়া ওসির পরিবারের পাশে থাকার দাবিও উঠেছে। কর্মীদের আরও একটি দাবি হল শুনানির দিনগুলিতে আদালতে হাজির থাকতে হবে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ও ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার অফিসারদের।

টালা থানার ওসির বিরুদ্ধে আরজি হত্যাকাণ্ডে তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে গোটা বিষয়টির মধ্যে একটি ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছে। এদিনও অভিজিৎকে আরও দিন দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিবিআই টালা থানার ওসির গ্রেফতারির স্টেটাস রিপোর্টেও জমা দিয়েছে বলেও সূত্রের খবর। সূত্রের খবর এই গ্রেফতারিকে সিবিআই অগ্রগতি হিসেবেই দেখছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।