সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার আন্দোলনকারীরা মিছিল করেছিলেন মেডিক্যাল কলেজ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত। তারপর শুক্রবার রাতে সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভ করেন।
আরজি করের নির্যতিতার বিচারের পাশাপাশি ১০ দফা দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের অশনের পর কেটে গেছে ১০০ ঘণ্টারও বেশি সময়। এই অবস্থায় ধর্মতলার অনশন মঞ্চে এল পুলিশ। ধরিয়ে দিয়ে গেল এলাকা ছাড়ার নোটিশ। যা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন জুনিয়র ডাক্তাররা। অন্যদিকে আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাঁকে ভর্তি করা হতে পারে হাসপাতালে।
পুলিশের চিঠি
ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে এল পুলিশ। হেয়ার স্ট্রিট থানার পক্ষ থেকে একটি চিঠি ধরিয়ে দিয়ে যাওয়া হয়েছে অনশনকারীদের। সেখানে বলা হয়েছে, 'আপনারা গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় অনশন করছেন। জোর করে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই মঞ্চ বানিয়েছেন। আপনাদের সামনে যে বোর্ড রাখা হয়েছে তা থেকে পাওয়া ত্য বলছে আপনাদের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বুধবার আপনাদের অনুরোধ করেছিলাম। কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুলেন্সের সাহায্য নিতে। কিন্তু আপনারা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমরা রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে অনুরোধ করেছি আপনাদের জন্য চিকিৎসকদের একি দল মোতায়েন করা হোক। আমাদের অনুরোধ আপনারা এই জায়গা ছাড়ুন। চিকিৎসার সহায্য গ্রহণ করুন। সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি সাহয্য দেওয়া হবে।'
আন্দোলনকারীদের প্রতিক্রিয়া
পুলিশের চিঠি প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীরা বলেন, 'আমাদের গাতে পুলিশের একটি চিঠি ধরিয়ে দিয়ে গেল। তাতে বলা হয়েছে, আমরা অনুমতি ছাড়া মঞ্চে বসে আছি। আমাদের উঠে যেতে হবে। জায়গা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। এটা আমরা ভালভাবে দেখছি না। ওদের কোনও উদ্বেগ নেই।'
শুক্রবার আন্দোলনকারীরা মিছিল করেছিলেন মেডিক্যাল কলেজ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত। তারপর শুক্রবার রাতে সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভ করেন। সেই সময়ই তারা রাজ্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা বৈধে দিয়েছিলেন। সেই সময়সীমা শেষ হয় শনিবার রাত সাড়ে আটটায়। তারপরই জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন শুরু করেন। সাত জন চিকিৎসক অনশন করেছেন। ১০০ ঘণ্টারও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। এদিন অশনশকারী অনিকেত মাহাত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।