সংক্ষিপ্ত
ভারতে বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। গত কয়েক মাসে অনুপ্রবেশ অনেক বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা কলকাতায় এসে জাল নথি তৈরি করে দিব্যি বসবাস করছে বলে অভিযোগ।
আসল নাম সেলিম মাতব্বর। সে বাংলাদেশের বিএনপি দলের নেতা বলে অভিযোগ। এই ব্যক্তি ২০২৩ সালে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে প্রায় দু'বছর বসবাস করছিল। কলকাতার মার্কুুইস স্ট্রিটে এক হোটেলে চাকরিও জুটিয়ে নিয়েছিল। তবে শেষরক্ষা করতে পারল না। শনিবার গ্রেফতার হল এই বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী। তাকে গ্রেফতার করেছে পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ। অভিযোগ, ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করার পর প্রথমে কিছুদিন উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী অঞ্চল বনগাঁয় ছিল সেলিম। তারপর সে কলকাতায় চলে আসে। এখানে সে নাম ভাঁড়িয়ে জাল নথি তৈরি করে। তার ভুয়ো নাম হয় রবি শর্মা। সে রাজস্থানের ঠিকানা দিয়ে প্রথমে আধার ও অন্যান্য জাল নথি তৈরি করে। তারপর সে পাসপোর্টও তৈরি করে। এই বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করার পর তার কার্যকলাপ খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
কী উদ্দেশ্যে কলকাতায় বিএনপি নেতা?
সেলিম যখন অবৈধভাবে ভারতে আসে, সেই সময় বাংলাদেশে ক্ষমতায় ছিলেন শেখ হাসিনা। তখন বিএনপি-র দাপট ছিল না। বাংলাদেশে মাতব্বরি করতে পারছিল না বলেই কি ভারতে চলে আসে সেলিম? কিন্তু সে কলকাতায় এসে নাম ভাঁড়িয়ে হোটেলে চাকরি করছিল কেন, এই প্রশ্নের জবাব খুঁজছে পুলিশ। গত ২ বছরে এই বাংলাদেশী কলকাতায় এসে কাদের সঙ্গে মিশত, কোথায় কোথায় গিয়েছে, ঠিক কী করত, সেসব জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কারা সেলিমকে এদেশে আশ্রয় দিল, জাল নথি তৈরি করতে সাহায্য করল, সেসবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অনুপ্রবেশ রুখতে কী ব্যবস্থা?
অনুপ্রবেশ রুখতে বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া প্রহরার দাবি উঠছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী যাতে গ্রামবাসীদের উপরেও কড়া নজর রাখে, সেই দাবিও উঠছে। কারণ, এদেশের কারও সাহায্য ছাড়া বাংলাদেশীদের পক্ষে এখানে এসে বাস করা সম্ভব নয়। এই কারণে অনুপ্রবেশকারীদের যারা সাহায্য করছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-