West Bengal News: রাজ্য নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ পদে রদবদল। কে হলেন নতুন নির্বাচনী আধিকারিক? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
West Bengal New CEO: অবশেষে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর দফতরের শূন্যপদ পূরণে আংশিক সমস্যার সমাধান। রাজ্যের পাঠানো সর্বশেষ নাম তালিকা প্যানেল থেকে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে নির্বাচন কমিশন এস অরুণ প্রসাদকে নিযুক্ত করল।
কে হলেন রাজ্যের নতুন নির্বাচনী আধিকারিক:-
বর্তমানে নদীয়ার জেলাশাসক পদে নিযুক্ত অরুন প্রসাদ ২০১১ সালের আইএএস ব্যাচ। গত লোকসভা নির্বাচনের পর অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পদে সঞ্জয় বসু অবসর নেওয়ার পর এতদিনে সেই শূন্যপদ পুরণ হল। যদিও গত ৩১ আগস্ট রাজ্য সিইও দপ্তরে আরো এক অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বিজিত কুমার ধর অবসর নিয়েছেন।
সেক্ষেত্রে এখনো একটি অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পদ ফাঁকা রয়েছে বলে দপ্তর সূত্রে খবর। মঙ্গলবার নতুন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক নিয়োগের পাশাপাশি যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বা জয়েন্ট সিইও পদেও হরিশঙ্কর পানিকর-কে নিযুক্ত করেছে কমিশন। ২০১৩ সালের আইএএস ব্যাচ হরিশঙ্কর রাজ্যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অবজারভার বা পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সর্বোপরি ২০১৫ সালে রাজ্যের বর্তমান সিইও মনোজ কুমার আগরওয়াল রাজ্যের কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দপ্তরের প্রধান সচিব থাকাকালীন পুরুলিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যাজিস্ট্রেট পদ থেকে হরিশঙ্কর পানিকর-কে রঘুনাথপুর মহকুমার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পদে উন্নীত করা হয়।
যদিও রাজ্য সিইও দপ্তরে উপ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বা ডেপুটি সিইও পদে শূন্যস্থান পূরণের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে যে তিনজনের নামের প্যানেল নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছিল তাদের মধ্যে কাউকেই মনোনীত করেনি নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে নির্বাচনের কাজে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে এই পদে নিযুক্ত করা প্রয়োজন।
যাদের নামের তালিকা প্যানেল হিসেবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে তাদের নির্বাচনের কাজের অভিজ্ঞতা নেই বলে জানানো হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। আর সেকারণেই ডেপুটি সিইও পদে নতুন করে নাম তালিকার প্যানেল দ্রুত রাজ্য সরকারকে পাঠাতে বলেছেন নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত রাজ্য সিইও দপ্তরে এই গুরুত্বপূর্ণ তিন আধিকারিক এর পদে একাধিক শূন্যস্থান পূরণের জন্য একাধিকবার রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল সিইও দফতর। বেশ কিছুদিন পর প্রাথমিকভাবে তিনটি পদের জন্য তিনজন করে মোট নয়জনের যে নাম তালিকার প্যানেল রাজ্যের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়। তা খারিজ করে দেয় কমিশন। মূলত নির্বাচনী কাজের সঙ্গে অভিজ্ঞতা না থাকা বা সংযুক্ত না থাকা এই কারণ দোষী এ প্রথম পাঠানো নাম তালিকার প্যানেল নবান্নে ফেরত পাঠায় নির্বাচন সদন।
একইসঙ্গে দ্রুত নতুন করে নামের প্যানেল পাঠানোর কথা ও জানানো হয়নি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। মাঝে বিহারের এসআইআর এবং রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া চালু করা নিয়ে কমিশন-রাজ্য সংঘাতের আবহে রাজ্যের পক্ষ থেকে নতুন করে নাম তালিকার প্যানেল কমিশনে পাঠানো হয়নি। এরপরও শূন্যস্থান পূরণের আবেদন জানানো হয় যথাক্রমে সিইও দপ্তর এমনকি কমিশনের পক্ষ থেকেও।
অবশেষে নতুন করে যে নাম তালিকার প্যানেল নবান্ন থেকে পাঠানো হয় তার মধ্যে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর পদে দুজন আইএএস-কে মনোনীত করা হলেও ডেপুডি সিইও পদে কাউকেই পছন্দ হয়নি নির্বাচন কমিশনের। যদিও রাজ্যে এসআইআর চালু হলে ডেপুটি সিইওদে-র যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। সে দিক থেকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যত দ্রুত ডেপুটি সিইও পদে নতুন নাম তালিকার প্যানেল কমিশনে পাঠানো হবে ততই দ্রুত সমস্যার সুরাহা হবে রাজ্য সিইও দপ্তরে বলে মনে করছেন পদস্থ কর্তা
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

