Bihar SIR: বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বিশেষ নিবিড় সমীক্ষায় প্রকাশিত হল বিহারের চূড়ান্ত ভোটারদের তালিকা। কত নাম বাদ পড়ল তালিকা থেকে? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Bihar SIR: পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী অবশেষে প্রকাশিত হলো বিহার বিধানসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। প্রায় দুই মাসের একটু বেশি সময় ধরে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় পরিমার্জ জনের পর নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন।
ইতিমধ্যেই বিহারের স্বীকৃত ১২ টি রাজনৈতিক দলকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকার কপি পাঠিয়েছে কমিশন। https://voters.eci.gov.in ক্লিক করলেই অনলাইনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা দেখতে পাবেন সাধারণ ভোটাররাও। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে মোট ৭ কোটি ৪২ লক্ষ ভোটার ভোট দিতে পারবেন। গত ২৪ জুন বিহারের ভোটার তালিকা অনুযায়ী যে ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ ভোটার ছিলেন তাদের মধ্যে বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন বা স্পেশাল ইনটেন্সিভ রিভিশন করে প্রাথমিকভাবে ৬৫ লক্ষ অযোগ্য ভোটারের নাম বাদ দিয়ে গত ১ অগাস্ট ৭ লক্ষ ২৪ হাজার ভোটারের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
কত নাম বাদ পড়ল ভোটার তালিকা থেকে?
এরপর মূলত ভোটারদের থেকে পাওয়া অভিযোগ খতিয়ে দেখে যে ঝাড়াই-বাছাই পর্ব চলে তাতে ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার অযোগ্য ভোটারের নাম খসড়া তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। পাশাপাশি যোগ্য ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদনের ভিত্তিতে ২১ লক্ষ ৫৩ হাজার ভোটারের নাম খসড়া ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এই সামগ্রিক প্রক্রিয়ার শেষে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিনে আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। ভারতীয় সংবিধানের ৩২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শুধুমাত্র যোগ্য ভোটাররাই যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকেন এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বিহার বিধানসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।
তবে ভোটার তালিকায় নাম তোলা যেহেতু একটি নিরন্তর প্রক্রিয়া তাই যোগ্য ভোটারদের ভোটার তালিকায় নাম তোলার সুযোগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশের শেষ দিনের দশ দিন আগে পর্যন্ত ভোটার তালিকায় যোগ্য ভোটাররা নাম তুলতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বিধি মেনে সংশ্লিষ্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে আবেদন জানাতে হবে যোগ্য ভোটারকে।
পাশাপাশি ১৯৫০ সালের ভারতীয় জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ২৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হলেও যদি সেই তালিকা নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে তিনি সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচনী আধিকারিক এর কাছে প্রথম আপিল এবং তারপর সরাসরি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এর কাছে দ্বিতীয়বার আপিল করতে পারবেন। এই আপিলের সারবত্তা বুঝে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।
উল্লেখযোগ্য, গত দুমাস ধরে বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের নির্দেশনায় ও নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশক্রমে বিহারের ৩৮টি জেলায় এসআইআর প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকার সংশোধনের কাজ চলে। বিহারের ২০০৩ সালের ভোটার তালিকাকে ভিত্তিবর্ষ ধরে এই বিশেষ নিবিড় পরিমার্জন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন ৩৮টি জেলার জেলাশাসক তথা ডিইও, ২৪৩ জন ইআরও, ২৯৭৬ জন এইআরও, প্রায় ১ লক্ষ বিএলও, কয়েক লক্ষ স্বেচ্ছাসেবক, শিক্ষিত বারটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব এবং তাদের মনোনীত প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার বিএলএ বা বুথ লেভেল এজেন্ট। নানা বিতর্ক, রাজনৈতিক প্রতিবাদ-প্রতিরোধ সামাল দিয়ে অবশেষে এসআইআর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হওয়ার জন্য এই বিপুল সংখ্যার নির্বাচন কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

