সংক্ষিপ্ত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ডিএ থেকে সরকারি কর্মচারীদের বঞ্চিত করছেন বলে দাবি করেন, তার জবাব দেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা বলেন যদি কেন্দ্রের বঞ্চনাই থাকে, তাহলে সে বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসতে পারে রাজ্য
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীদের বড় একটা অংশ। আন্দোলনে রাশ টানতে কর্মবিরতি এবং ধর্মঘটে যোগ দেওয়া কর্মচারীদের শো-কজ় করে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। বুধবার ৬২ দিনে পড়ল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন। বুধবার একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্ণা মঞ্চ, অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা মঞ্চের মাঝেই ঘটে গেল অঘটন।
বুধবার বকেয়া ডিএ আদায়ের দাবিতে তৈরি আন্দোলন মঞ্চে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হামলায় আহত হন এক আন্দোলনকারী। সূত্রের খবর ওই যুবকের নাম পিন্টু পাইক। আহত পিন্টুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ বুধবার দুপুরে তৃণমূলের সভা চলাকালীন হঠাৎ ৪-৫ জন দুষ্কৃতী ওই পিন্টু-সহ কয়েকজনের উপর হামলা চালায়, বাকিরা পালিয়ে গেলেও পিন্টু পালতে পারেনি, পিন্টুকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের উপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। তবে কে বা কারা এই হামলায় যুক্ত তা জানাতে চাননি তাঁরা। তাঁদের দাবি পুলিশের সামনেই ঘটনা ঘটেছে, তাই পুলিশই জানে কারা হামলা চালিয়েছে।
এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ডিএ থেকে সরকারি কর্মচারীদের বঞ্চিত করছেন বলে দাবি করেন, তার জবাব দেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা বলেন যদি কেন্দ্রের বঞ্চনাই থাকে, তাহলে সে বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসতে পারে রাজ্য, খোলাখুলি কথা বলে সমস্যা মেটানো যেতে পারে। কিন্তু সেদিকে হাঁটছে না রাজ্য। তাই ধোঁয়াশা রয়ে যাচ্ছে এই দাবির সত্যতা নিয়ে।
এদিন যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “সরকারি কর্মীদের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনার সময় মাইক বন্ধ রাখার অনুরোধ করে পুলিশ। তবে আন্দোলনকারীরা সেই অনুরোধ নাকচ করেন। আমরা হাইকোর্টের নির্দেশিকা পালন করে চলব। আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব। নিত্যদিনের মতোই আমাদের মাইক বাজবে।”
গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্মতলার শহিদ মিনার ময়দানে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-এর দাবিতে রিলে অনশন শুরু করেছিলেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ধারাবাহিক অনশন শুরু হয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা উঠবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। ডিএ নির্দেশ বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিবেচনাধীন। আগামী এপ্রিলে ফের রয়েছে এই মামলার শুনানি। আপাতত আন্দোলনের পাশাপাশি এই আইনি নির্দেশের দিকেও তাকিয়ে রয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।
ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারিদের একাংশ। কেন্দ্রের সমহারে ডিএ-র দাবিতে অনড় তাঁরা। বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে রাজ্য সরকারের তিন শতাংশ ডিএ ঘোষণা খুশি করতে পারেনি ডিএ আন্দোলনকারীদের। শহিদ মিনারে কয়েক সপ্তাহ ধরেই ধরনা দিচ্ছেন তাঁরা।