সংক্ষিপ্ত
কলকাতায় বাংলাদেশ সাংসদ খুনে যেন পরতে পরতে রহস্য। তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই যেন জট খুলতে শুরু করেছে। এবার এই খুনের পিছনে উঠে আসছে এক লাস্যময়ী শিলাস্তি রহমানের নাম।
কলকাতায় বাংলাদেশ সাংসদ খুনে যেন পরতে পরতে রহস্য। তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই যেন জট খুলতে শুরু করেছে। এবার এই খুনের পিছনে উঠে আসছে এক লাস্যময়ী শিলাস্তি রহমানের নাম।
প্রসঙ্গত, চিকিৎসা করাতে এসে কলকাতায় খুন হন বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, ৫৬ বছর বয়সী আনোয়ারুল আজিম খুনে ইতিমধ্যেই তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আর তারপরই উঠে আসে এই শিলাস্তি রহমানের নাম।
কিন্তু কে তিনি? তদন্ত করে জানা যাচ্ছে, এই শিলাস্তি রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠন ‘পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি’-র যোগাযোগ রয়েছে। এই দলটি ষাটের দশকে পশ্চিমবঙ্গে নকশালপন্থী রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল। পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালের পর এই পিবিসিপি ভেঙে যায়। আর এই চরমপন্থী সংগঠনের সঙ্গেই গোপনে যোগাযোগ রেখে চলতেন শিলাস্তি রহমান।
বাংলাদেশ পুলিশের আধিকারিকরা এই শিলাস্তি রহমানকে হানি ট্র্যাপ বলেই সন্দেহ করছেন। তদন্তে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই শিলাস্তি রহমানের আরও একটি নাম রয়েছে, সিনথিয়া রহমান। তবে শুধু তিনি নন। আর একজনের নাম উঠে এসেছে এই ঘটনায়। পরিকল্পনা করেই নাকি তিনবারের জয়ী ঝিনাইদহের আওয়ামি লিগ সাংসদ আনোয়ারুল আজিমকে কলকাতায় নিয়ে আসেন তাঁর ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহিন। আর এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেন শিলাস্তি রহমান ওরফে সিনথিয়া। তাঁকে ব্যবহার করেই কলকাতায় আনা হয় পড়শি দেশের সাংসদকে।
গত ১২ মে, “চিকিৎসা করাতে যাচ্ছি বলে” কলকাতায় আসেন তিনি। কিন্তু অদ্ভুতভাবে গত ১৫ মে থেকে আর কোনও যোগাযোগ করা যায়নি তাঁর সঙ্গে। আর এবার এই তদন্তে সরাসরি যুক্ত হয়ে গেছে শিলাস্তি রহমানের নাম। আর সেখান থেকে জানা যায় যে, এই শিলাস্তি রহমান আসলে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এবং এই খুনে যার প্রত্যক্ষ যোগাযোগ থাকার সম্ভাবনা একদমই উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা।
আজিম কলকাতায় আসার পর তাঁর সঙ্গে দেখা করে সিনথিয়া। তদন্তে উঠে এসেছে, এই লাস্যময়ীকেই ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেইসঙ্গে, গত ১৩ মে আজিম হত্যায় শিলাস্তি রহমান নিজেও যুক্ত থাকেন এবং লাশ গুম করতে সহযোগিতা করেন বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। গত ১৫ মে তারপর তিনি দেশে ফিরে যান।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, “দ্রুত সমস্ত দোষীদের গ্রেফতার করা হবে।” তবে এই খুনে ব্যবসায়িক শত্রুতাই বারবার সামনে আসছে বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।