সংক্ষিপ্ত

চলতি মাসেই নয়া রাজ্য বিজেপি সভাপতির নাম ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। কিন্তু কে হতে চলেছেন সেই পদের অধিকারী। বিজেপি সূত্রে একাধিক নাম নিয়ে আলোচনার কথা জানা গেলেও এখনও পর্যন্ত কারও নামেই সিলমোহর দেওয়া হয়নি।

ফের ফিরবেন দিলীপ ঘোষ! নাকি সুকান্ত মজুমদারকেই রাজ্য সভাপতি পদে কিছুদিন বহাল রাখা হবে? এই প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে রাজ্য বিজেপির অফিসের অন্দরে। কার্যত নেতা খুঁজতে ঠগ বাছতে গা উজাড় করে ফেলছে পদ্ম শিবির। রাজ্য সভাপতি বাছাইয়ের দায়িত্ব সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার হলেও কার্যত তা এখনও করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ বার তিনি কাকে বাংলার সভাপতি বাছবেন, তা নিয়ে দলের মধ্যে বিভিন্ন জল্পনা শুরু হয়েছে।

তবে খুব দেরি হয়ত করা হবে না এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। চলতি মাসেই নয়া রাজ্য বিজেপি সভাপতির নাম ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। কিন্তু কে হতে চলেছেন সেই পদের অধিকারী। বিজেপি সূত্রে একাধিক নাম নিয়ে আলোচনার কথা জানা গেলেও এখনও পর্যন্ত কারও নামেই সিলমোহর দেওয়া হয়নি।

সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনায় সবচেয়ে এগিয়ে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। অতীতে জেলা সভাপতি জগন্নাথ শিক্ষকতা করতেন। সাংগঠনিক অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। আলোচনায় থাকা দ্বিতীয় নাম জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো। পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় দিলীপ জমানা থেকেই রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।

বিজেপির নিম্নবর্গীয় ভোট বেশ কিছুটা কমেছে। আর কুর্মি সম্প্রদায়ের নানা দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলনের নজির সাম্প্রতিক কালে দেখা গিয়েছে। ফলে কৃষক পরিবারের জ্যোতির্ময়কে বাছার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ কাউকে রাজ্য সভাপতি করার সম্ভাবনা বেশি।

এ ছাড়াও নাম উঠছে সদ্য রাজ্যসভার সাংসদ হওয়া রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের। অতীতে বিজেপির একক শক্তিতে প্রথম বিধায়ক হওয়া শমীক রাজ্যে পরিচিত মুখ। বক্তা হিসাবে সুখ্যাতি রয়েছে। দলের আদি, নব্য দুই গোষ্ঠীর সঙ্গেই সম্পর্ক ভাল। আবার ‘মার্জিত’ ভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সুনাম রয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।