সংক্ষিপ্ত

পুলিশ এখানে নিষ্ক্রিয় দর্শক। পুলিশ চুপ থেকে অশান্তি ছড়ানোতে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ পুলক নারায়ণ ধরের। তিনি বলেন রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচ্ছন্ন মদত ছাড়া পুলিশ এতটা নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না।

রাজ্যের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারেই ভেঙে পড়েছে। এই দাবি নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে চিঠি পাঠাল বিজেপি বুদ্ধিজীবী সেল। এই চিঠিতে ২৬ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির স্বাক্ষর রয়েছে। ফোনে এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানান সেলের কনভেনর অধ্যাপক পুলক নারায়ণ ধর জানান রাজ্যের যে অশান্ত পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, সে বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

পুলিশ এখানে নিষ্ক্রিয় দর্শক। পুলিশ চুপ থেকে অশান্তি ছড়ানোতে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ পুলক নারায়ণ ধরের। তিনি বলেন রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচ্ছন্ন মদত ছাড়া পুলিশ এতটা নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না। পুলিশ দুর্নীতি ইস্যুতে চোখ বন্ধ করে রয়েছে। এই বিষয়ে তাঁরা রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চেয়ে তারিখ চেয়েছেন। ১১ই এপ্রিলের পরে কোনও দিন তাঁরা দেখা করতে পারেন রাজ্যপালের সঙ্গে। বেশ কিছু তথ্য তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান পুলক নারায়ণ ধর। বঙ্গ বিজেপির বুদ্ধিজীবির সেলের কনভেনর এদিন সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের বিরুদ্ধেও।

তিনি বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দিষ্ট কোনও সম্প্রদায়ের দোষ ত্রুটি ঢেকে রাখছেন। আর রামনবমীর মিছিলে হামলার ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক ও নেতিবাচক। উল্লেখ্য, হাওড়ায় অশান্তির পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোন করেছিলেন রাজ্যপালকে। শাহ কথা বলেন সুকান্তের সঙ্গেও। তবে রিষড়ায় অশান্তি ছড়াতেই বিজেপি একের পর এক চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রকে।

এর পরে শাহের মন্ত্রক রিপোর্ট চেয়ে নবান্নের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছে। তার আগেই রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গের সফর কাটছাঁট করে মঙ্গলবার কলকাতায় ফিরে রিষড়ায় যান। এর পর রাজভবনে যায় সুকান্তের নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধিদল। সেই দল একটি স্মারকলিপিও দিয়েছে রাজ্যপালকে। বিজেপি বরাবরই এমন দাবি করে যে, ‘নীতিগত’ ভাবে তারা কোনও রাজ্যে ৩৫৬ অনুচ্ছেদ জারি করার পক্ষপাতি নয়। গণতান্ত্রিক সরকার ভেঙে দেওয়ার কোনও নজির বিজেপি এখনও পর্যন্ত দেখায়ওনি। কিন্তু ৩৫৫ অনুচ্ছেদ জারি করার দাবিও কি মানবে নরেন্দ্র মোদী সরকার? এমন প্রশ্ন রয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরেও। তবে গোটা রাজ্যে নয়, সম্প্রতি অশান্ত হাওড়া জেলার শিবপুর থানা এবং হুগলি জেলার রিষড়া থানা এলাকায় ৩৫৫ জারি ।

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের দু’টি এলাকাকে ‘উপদ্রুত’ অঞ্চল বলে মনে করছে তারা। সেই দুই এলাকায় সংবিধানের ৩৫৫ অনুচ্ছেদ জারির জন্য কেন্দ্রকে যাতে রাজ্যপাল চিঠি পাঠান, সেই দাবিই জোরাল ভাবে পেশ করেছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।