সংক্ষিপ্ত

তৃণমূলের এই বিপুল জয়ের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা যেমন আলোচনায় উঠে এসেছে, তেমনই আবার ১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা আটকে যাওয়া নিয়ে তৃণমূলের প্রচারে গ্রামীণ জনতা ভরসা করেছে বলেও মনে করা হয়েছে। কিন্তু একটু অন্য ছবি শহর ও শহরতলিতে।

লোকসভা ভোটে রাজ্যে থাবার বসাতে পারেনি বিজেপি। আপাত দৃষ্টিতে এটাই ঠিক মনে হলেও এর পিছনে রয়েছে অন্য সমীকরণ। এটা ঠিক যে আসন বেড়েছে তৃণমূলের, বেড়েছে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যাও। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের ধাক্কা সামলে আসন সংখ্যা বেড়ে এবার ঘাসফুল ফুটেছে ২৯টি আসনে। গতবারের হারা আসন পুনরুদ্ধার হয়েছে। তবু কাঁটা রয়ে গিয়েছে ঘাসফুলের জয়ে।

তৃণমূলের এই বিপুল জয়ের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা যেমন আলোচনায় উঠে এসেছে, তেমনই আবার ১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা আটকে যাওয়া নিয়ে তৃণমূলের প্রচারে গ্রামীণ জনতা ভরসা করেছে বলেও মনে করা হয়েছে। কিন্তু একটু অন্য ছবি শহর ও শহরতলিতে।

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, লোকসভার ফল ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, কলকাতা পুরসভায় কিন্তু বড়সড় থাবা বসিয়েছে বিজেপি। ১৪৪ ওয়ার্ড বিশিষ্ট কলকাতা পুরসভায় বছর দুয়েক আগে পুরভোটে যেখানে মাত্র ৩টি ওয়ার্ডে জিতেছিল বিজেপি, সেখানে এবার লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে ৪৫টি ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে তারা। উল্টোদিকে, ২০২২-এ কলকাতা পুরসভায় ১৩৪টি ওয়ার্ডে জিতেছিল তৃণমূল এবার তাদের লিডের সংখ্যা কমে হয়েছে ৯৮।

কলকাতার ২টি লোকসভা আসন। সেখানে তৃণমূল জিতলেও বহু ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। একাধিক হেভিওয়েট কাউন্সিলরদের ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। তৃণমূল বিধায়ক, দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতি ও মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার- তাঁর ওয়ার্ড ৮৫। সেখানে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভাজন শশী পাঁজার নিজের ওয়ার্ড এবং তাঁর মেয়ে পূজা পাঁজার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডেও পিছিয়ে তৃণমূল।

৭০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ও মেয়র পরিষদ অসীম কুমার বসুর ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। একই ছবি ৭২ নম্বরের তৃণমূল কাউন্সিলর ও মেয়র পরিষদ সন্দীপরঞ্জন বক্সীর ওয়ার্ডেও। এছাড়াও তৃণমূলের হেভিওয়েট কাউন্সিলর ও বরো চেয়ারপার্সন জুঁই বিশ্বাস, সুশান্ত ঘোষ, সুদীপ পোল্লে, সাধনা বসু, সুস্মিতা ভট্টাচার্যের ওয়ার্ডে তৃণমূলের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তৃণমূল কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডেও ফুটেছে পদ্ম। তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে-র ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডেও এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।

অন্যদিকে উত্তর কলকাতার কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠকের ওয়ার্ডে এগিয়ে বিজেপি। লোকসভা ভোটের আগে কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও তৃণমূল কাউন্সিলর মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য়ে আসে। সেখানেও লোকসভা ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে এগিয়ে গেছে বিজেপি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।