Dilip Ghosh News: বিজেপির অন্দরে দিলীপে অ্যালার্জি। নব নির্বাচিত রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের বরণ অনুষ্ঠানে না যাওয়া নিয়ে এবার মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Dilip Ghosh News: দীঘায় জগন্নাথদেব দর্শনের পর থেকেই অলিখিত ভাবে তার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে দল। ডাক পাননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি বরণের অনুষ্ঠানে। যারফলে স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক মহলে তাঁকে নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। তিনি আর কেউ নন, রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। গেরুয়া শিবিরের অন্দরে এই দিলীপ ঘোষের ছোঁয়া এড়িয়ে চলা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তরজা। এবার তা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন প্রাক্তন সাংসদ।

যেভাবে দিন দিন দলের সঙ্গে তার রাজনৈতিক দূরত্ব বাড়ছে তাতে ভবিষ্যতে কী অন্য দলে যোগ দেবেন দিলীপ ঘোষ? শুক্রবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ''আমার রাজনৈতিক ভবিষ্যত পার্টি ঠিক করবে। ভগবানের খাতায় লেখা আছে। আমাকে বিজেপি নিয়ে এসে একটা জায়গা দিয়েছিল। আমি নিজে থেকে আসিনি। পার্টি চেয়েছে তাই আমি এসেছি। পার্টি আমাকে রাজ্য সভাপতি করেছে, বিধায়ক করেছে, সাংসদ করেছে, জাতীয় নেতা করেছে। আমি নিজে থেকে কিছু চাইনি। পার্টি আমাকে গাড়ি দিয়েছে, সিকিউরিটি দিয়েছে। আমি নিজে এগুলোর কোনওটাই চাইনি। পার্টি যদি মনে করে আমি এখন সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করব, তাহলে তাই করব। আমাকে ডাকলে আমি যাই। না ডাকলে যাই না।''

এদিকে দিলীপ ঘোষ মানেই তো চমক। দীঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে যাওয়ার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা আরও বেড়েছে। তাহলে কী ছাব্বিশের ভোটের আগে পদ্ম ছেঁড়ে ঘাসফুলে যাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ? বলেন, ''কল্পনা করতে তো পয়সা লাগে না। অনেকেই করছে। ২১ তারিখ পর্যন্ত কল্পনার ডেট দেওয়া হয়েছে। তারিখ পে তারিখ। কিছু একটা মার্কেটে থাকে। দিলীপ ঘোষ মার্কেটে আছে।''

এদিন দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ''আমাকে মুখ্যসচিব চিঠি দিয়েছিলেন। আমি একজন সম্মানীয় নাগরিক। সেই হিসেবে গিয়েছি। সরকারি প্রকল্প। কিন্তু আমি মনে করি ওই মন্দির তৈরিতে আমার ট্যাক্সের টাকা আছে। এটা কারুর পৈতৃক সম্পত্তি নয়। বহু লোক আমাকে ডাকে।'' অন্যদিকে দলের অন্দরেই গুনঞ্জন শোনা যাচ্ছে যে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তৃণমূলের সখ্যতা বেড়েছে। যদিও এই প্রশ্ন নিয়ে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের স্পষ্ট কথা, ''আমার সঙ্গে কুণাল অরূপের অনেক আগে থেকে পরিচয়। এখনও আছে। আগামী দিনেও থাকবে। দিলীপ ঘোষ ওরকম ভাবে ভাবে না। কাল শত্রু ছিল আজ বন্ধু হল আবার পরেরদিন শত্রু হল, দিলীপ ঘোষ ওইভাবে ভাবে না। যারা ওরকম করে তাদের সমস্যা আছে। দিলীপ ঘোষের এরকম কোনও সমস্যা নেই।''

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার শমীক ভট্টাচার্যর সংবর্ধনা দেওয়ার কর্মসূচিতে ডাক পাননি বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। আমন্ত্রণ করা হয়নি আরও এক প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়কেও। তথাগত রায়ের থেকেই দিলীপ ঘোষকে আমন্ত্রণ না জানানোয় বেশি জল্পনা তৈরি হয়েছে। কারণ, শমীক রাজ্য সভাপতি হওয়ার পরই তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। শমীকের সংবর্ধনা সভা নিয়ে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, তিনি যাচ্ছেন না। কারণ তাঁকে আলাদা করে কোনও খবর দেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেছেন, 'আমি সভাপতি নির্বাচনের ভোটার নই। যারা প্রদেশ পরিষদ সদস্য তারাই ভোটার। আজকের অনুষ্ঠানে তাদের ডাকা হয়েছে। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ডাক পেয়েছেন। আমার ওখানে যাওয়ার কথা নয়। '

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।