সংক্ষিপ্ত
এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে এখনই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না।
লোকসভা নির্বাচন চলার সময় ও তার আগে ও পরে নন্দীগ্রাম থানায় বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় ৪৭টি অভিযোগ। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশের তরফে করা হয় এফআইআর। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয় তাদের কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে মিথ্যা মামলা দিয়ে। সেই অভিযোগ নিয়ে বিজেপি দ্বারস্থ হয় কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে সেই মামলার শুনানি ছিল আজ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী পিএস পাটোয়ালিয়া এবং বিল্বদল ভট্টাচার্য আদালতে সওয়াল করেন।
এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে যে মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে এখনই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না। মামলার শুনানি চলার সময় মৌখিকভাবে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের (এজি) আশ্বাস অনুযায়ী, পুলিশ আপাতত এই মামলাগুলির ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না।
আদালতের তরফে রাজ্যের কাছে এই মামলাগুলির তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী মঙ্গলবার। রাজ্যকে ওই দিন জমা দিতে হবে রিপোর্ট। রাজ্যের পক্ষ থেকে এই মামলায় বলা হয়েছে, যে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তাদের নিয়ে। তদন্ত চালানো হোক। অপরাধ হয়েছে কিনা সেই তথ্য উঠে আসুক পুলিশি তদন্তে। এরপর মৌখিকভাবে রাজ্যের এজি বলেন, কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত। তার সাথে এজি আশ্বাস দেন যে এখনই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না এই বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে।
এদিকে, শুভেন্দুর আইনজীবীরা জানান এই মামলাগুলি করা হয়েছে ৪ মে থেকে ১২ জুনের মধ্যে। আইনজীবীদের অভিযোগ এর পিছনে রয়েছে চক্রান্ত। বিরোধী দলনেতার আইনজীবীরা এইসব এফআইআর সিবিআই দিয়ে খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।