সংক্ষিপ্ত
৩০-৩৫ বছর বয়সী এক মহিলার দেহের অংশ পাওয়া গেলে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ওয়াটগঞ্জ থানা ছাড়াও দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিশও সেখানে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার কলকাতার ওয়াটগঞ্জ এলাকার সত্য ডক্টর লেনে বছরের পর বছর ধরে খালি থাকা সিআইএসএফ ব্যারাকে ৩০-৩৫ বছর বয়সী এক মহিলার দেহের অংশ পাওয়া গেলে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ওয়াটগঞ্জ থানা ছাড়াও দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিশও সেখানে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
মহিলার পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। যে মহিলার মাথা পাওয়া গেছে তাতে সিঁদুর ও টিপ লাগানো ছিল। এখানে মৃতদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার দল লালবাজার থেকে সেখানে পৌঁছে মামলার তদন্ত শুরু করে। ওই মহিলার মুখের ছবি মহানগর ও রাজ্যের বিভিন্ন থানায় পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, ওই মহিলাকে শনাক্ত করার পরই তাকে কে, কেন এবং কোথায় খুন করা হয়েছে সে সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।
পুলিশ কীভাবে তথ্য পেল?
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওয়াটগঞ্জ থানায় পৌঁছান এক যুবক। তিনি জানান, বিকেলে তিনি ওই খালি জমিতে পৌঁছেছেন। সেখানে তিনি তিনটি কালো পলিথিনের প্যাকেট দেখতে পান। যা থেকে দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিশে খবর দেন, পুলিশ এসে ওই পলিথিন খুললে ভেতরে একজন নারীর কাটা মাথা দেখতে পান।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাকি দুটি পলিথিন খুললে একটি থেকে ওই নারীর ধড় ও অপরটি পলিথিন থেকে ওই নারীর পা পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া ধড় থেকে তার উভয় হাত, তার পেটের পুরো অংশ এবং পায়ের আঙ্গুলগুলি অনুপস্থিত ছিল।
চরম ক্ষোভে খুনের সন্দেহ প্রকাশ করেছে পুলিশ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে নৃশংসতার সঙ্গে মহিলাকে খুন করা হয়েছে এবং তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে কেউ রাগের বশে তাঁকে খুন করেছে। যে পলিথিনে মাথা পাওয়া ইটগুলো থেকে বোঝা যায় লাশ নদীতে বা চামড়ায় ফেলার পরিকল্পনা ছিল। তবে কোনও কারণে সেটি খালি জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়। আশেপাশে সিসিটিভি ক্যামেরায় পাওয়া ছবি স্ক্যান করে খুনিকে ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকতলা এলাকায় সম বয়সী এক মহিলা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, লাশটি নিখোঁজ মহিলারর কি না তা শনাক্ত হলে পরবর্তী পর্যায়ের তদন্ত শুরু করবে পুলিশ ।