সংক্ষিপ্ত

হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে একটু সুস্থ হতেই বাইপ্যাপ সহ রাইলস টিউব খুলে ফেলতে চাইছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার আমও খেতে চেয়েছিলেন তিনি।

প্রায় ছ'দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থায় অনেকটাই উন্নতি হয়েছে তাঁর। বুধবার রাইলস টিউব খুলে দেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। গত সোমবারই ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। গতকাল থেকে ভিজিটারদের সঙ্গেও টুকটাক কথা বলেছেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে একটু সুস্থ হতেই বাইপ্যাপ সহ রাইলস টিউব খুলে ফেলতে চাইছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার আমও খেতে চেয়েছিলেন তিনি।

শারীরিক অবস্থা অনেকটা ভালো হলে বৃহস্পতিবারের মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে ফুসফুসে সংক্রমণের মাত্রা ও অন্যান্য ফ্যাক্টরগুলি জানতে আবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বুকের ইউএসজি করা হবে। এই মুহূর্তে অন্যান্য প্যারামিটারগুলি সন্তোষজনক বলেই হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে। সংক্রমণের কারণে চলছে অ্য়ান্টি বায়োটিকের কোর্স। আগামী শনিবার এই কোর্সও শেষ হবে। আজ তাঁকে দেখতে ছত্তিশগঢ় থেকে কলকাতায় আসছেন অভিজ্ঞ ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ধীমান গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর পরামর্শ মতোই এগোবে মেডিক্যাল বোর্ড।

গত শনিবার রাতে ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে গুরুতর সংক্রমণ হওয়ায় আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। সেই রাতেই তৎক্ষনাৎ ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয় তাঁকে। ধরা পরে নিউমোনিয়াও। সোমবার পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হয় বুদ্ধদেবকে। আগের চেয়ে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে সামান্য সুস্থ হতেই বাড়ি ফিরতে চেয়েছেন তিনি। চিকিৎসকদের কাছে তাঁর আবদার,'আমাকে এ বার ছেড়ে দিন।'

শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি ধীরে হলেও লক্ষ্যণীয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর সব কিছু ঠিক থাকলে শনিবার ছেড়ে দেওয়া হতে পারে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে রক্ত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বুদ্ধদেবের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থাকায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখাটা জরুরি বলে মত চিকিৎসকদের। ফলে তাঁর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১০-এর কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। এ জন্য আপাতত তাঁকে এক ইউনিট রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।