সংক্ষিপ্ত

ইতিমধ্যেই হাসপাতালে তাঁকে দেখতে গিয়েছেন রাজ্যপাল থেকে বিরোধীরাও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি সহ বিভিন্ন দলের নেতারা গিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে।

গত ৪৮ ঘন্টা ধরে ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এখনও তাঁর শরীরের সঙ্কট কাটেনি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে রবিবার রাত থেকে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল পর্যায়ে পৌঁছেছে। সোমবার সকাল তাঁর রিপোর্টেও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনায় দলমত নির্বিশেষে বার্তা পাঠাচ্ছেন রাজনীতিকরা। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার খোঁজ রাখছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে তাঁকে দেখতে গিয়েছেন রাজ্যপাল থেকে বিরোধীরাও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি সহ বিভিন্ন দলের নেতারা গিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর আরোগ্য কামনা করলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র ও শতাব্দী রায়েও। অন্যদিকে একেবারে অন্য সুর শোনা গেল শুভেন্দু অধিকারীর গলায়ও। হাসপাতালের বাইরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন,'যারা আমরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করি, তাঁরা ভগবানের কাছে প্রার্থনা করব যাতে উনি দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। মানুষের শ্রদ্ধার ব্যাক্তি উনি। এরকম একজন সৎ রাজনীতিবিদ যাকে গোটা পশ্চিমবঙ্গ, জনমত নির্বিশেষে ভালোবাসে, তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয় ওঠেন। চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেছি। কড়া নজরদারিতে রাখা হচ্ছে তাঁকে।' অন্যদিকে কুণাল ঘোষের মন্তব্যের সমালোচনা করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছন,'বুদ্ধবাবুর নীতি, রাজনীতির সঙ্গে আমাদের আদর্শগত পার্থক্য রয়েছে৷ কিন্তু উনি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বহুদিন রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কাজ করেছেন। সবচেয়ে বড় কথা ওঁর দিকে তো কেউ আঙুল তুলে চোর বলতে পারবে না।'

সোমবার সকালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে এমনই ইতিবাচক ইঙ্গিত দিলেন। সোমবার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর রিপোর্ট সন্তোষজনক। ফুসফুসের যে সংক্রমণের কথা বলা হয়েছিল তাও নিয়ন্ত্রণ হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে চলে এসেছে, যাকে ডাক্তারি ভাষায় অরগানাইজিং প্রক্রিয়া বলে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর ফুসফুসের সংক্রমণ ঠিক কতটা গুরুতর অবস্থায় রয়েছে সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বাইরে আনা হবে কি না। আজ দুপুর ১২টার মিটিং-এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ঠিক কী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ভেন্টিলেশনের বাইরে আনা যায়।

আশার কথা এই যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর যে রিপোর্ট সামনে এসেছে তা থেকে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে তাঁর ফুসফুসের সংক্রমণ আপাতত নিয়ন্ত্রণে। তবে চিকিৎসকরা আগেই জানিয়েছিলেন স্থিতিশীল হলেও সংকটমুক্ত নন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে তাঁকে দেওয়া হচ্ছিল বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিকও। এই মুহূরর্তে এই অ্যান্টিবায়োটিকে কোন রকমের পরিবর্তন প্রয়োজন কী না তা নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে আজকের রিপোর্টের উপর। আজকের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবেন চিকিৎসকরা।