- Home
- West Bengal
- Kolkata
- চাকরিহারা গ্রুপ 'সি'-গ্রুপ 'ডি' কর্মীদের ভাতা প্রদান এখনই নয়, কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
চাকরিহারা গ্রুপ 'সি'-গ্রুপ 'ডি' কর্মীদের ভাতা প্রদান এখনই নয়, কড়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
Cal HC On SSC Case: চাকরিহারা গ্রুপ সি-ডি কর্মীদের জন্য রাজ্য সরকারের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফের সামনে এলো বড় নির্দেশ। কী জানাল কলকাতা হাইকোর্ট? বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

গ্রুপ সি-ডি কর্মীদের জন্য কোর্টের নতুন নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে গত ৩ এপ্রিল একযোগে চাকরি চলে গিয়েছে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অ-শিক্ষক কর্মীদের। যোগ্য শিক্ষকরা সদ্য শেষ হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় বসলেও শীর্ষ আদালতের রায়ে পরীক্ষায় বসতে পারেনি গ্রুপ সি-ডি কর্মীরা। এই অবস্থায় সম্প্রতি তাদের জন্য প্রতি মাসে ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের এই নির্দেশের ওপর এবার অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট।
কী জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, গ্রুপ সি-ডি কর্মীদের রাজ্য সরকারের তরফে প্রতিমাসে ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হল। আগামী ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এই সকল কর্মচারীদের ভাতা দিতে পারবে না রাজ্য সরকার।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের চাকরি বাতিল মামলায় চাকরি হারা গ্রুপ সি-ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলার গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। যদিও গত শুনানিতে কীসের ভিত্তিতে ভাতার পরিমাণ ২৫ হাজার, ২০ হাজার টাকা করা হল সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি সিনহা। অন্যদিকে মামলাকারীদের আইনজীবী জানান, কে মামলা করবে তা রাজ্য সরকার ঠিক করে দিতে পারে না।
গত শুনানিতে কী বলেছিলেন বিচারপতি সিনহা
এদিকে গত শুনানিতে বিচারপতি সিনহা চাকরিহারা গ্রুপ 'সি' ও গ্রুপ 'ডি' কর্মীদের রাজ্যের ভাতা দেওয়ার মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষ বলে জানান হাইকোর্টে। রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। শুনানিতে মামলার গ্রহণযোগ্যতা এবং মামলাকারীদের স্বার্থ নিয়ে নিয়ে প্রশ্ন তোলে রাজ্য। মামলাকারীদের পাল্টা জবাব, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে ওই কর্মীদের। সেই নির্দেশের অন্য মানে করা হচ্ছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ রয়েছে, এমন বিষয়ে আইনসভা বিপরীত সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কর দেন এমন যে কোনও নাগরিক ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করতেই পারেন। জনগণের টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে তা জানার অধিকার সবার আছে।
কী জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি ২০১৬ তে প্রায় ২৬ হাজার প্যানেল বাতিল হয়েছিল। তারমধ্যে গ্রুপ 'সি' ও গ্রুপ 'ডি' চাকরি হারারাও ছিলেন। গ্রুপ 'সি' ও গ্রুপ 'ডি' চাকরিহারাদের শ্রম দফতরের 'ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভলিহুড অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি ইন্টারিম স্কিম, ২০২৫' এর মাধ্যমে যথাক্রমে ২৫ হাজার এবং ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত মাসের শেষের দিকে এই নিয়ে রাজ্যের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। যতদিন না মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে ততদিন এই ভাতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

