- Home
- West Bengal
- Kolkata
- চাকুরিরতা স্ত্রীকে ৪০০০ টাকা খোরপোষ দিতে স্বামীকে চাকরির নির্দেশ, বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় রায় কোর্টের
চাকুরিরতা স্ত্রীকে ৪০০০ টাকা খোরপোষ দিতে স্বামীকে চাকরির নির্দেশ, বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় রায় কোর্টের
Calcutta High Court orders: বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় এক অবাক করার মত নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। স্ত্রী চাকুরিকতা হলেও খোরপোষ দেওয়া স্বামীর দায়িত্ব। আর সেই খোরপোষ দিতে স্বামীকে চাকরি খুঁজে নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

কলকাতা হাইকোর্টে বিবাহবিচ্ছেদ মামলা
বিবাহ বিচ্ছেদ মামলায় এক অবাক করার মত নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। স্ত্রী চাকুরিকতা হলেও খোরপোষ দেওয়া স্বামীর দায়িত্ব। আর সেই খোরপোষ দিতে স্বামীকে চাকরি খুঁজে নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের নির্দেশ স্ত্রীর ভরণপোষঁণের দায়িত্ব স্বামীকে নিতেই হবে।
বিবাহবিচ্ছেদ মামলা
২০১২ সালে ৪ অগস্ট বিশেষ বিবাহ আইনে এই বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু সামাজিক বিয়ে হয়নি। মহিলা শ্বশুরবাড়ি যাননি। স্বামী মহিলার বাড়িতে নানা সময় এসে থাকতেন। কিন্তু মহিলাকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যেতেন না। মহিলা এরপর স্বামী বিবাহবিচ্ছেদ মামলা করেন। মহিলা ভরণপোষণের জন্য মাসিক ১০ হাজার টাকা দাবি করেন।
পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ
পারিবারিক আদালতে স্বামী জানিয়ে দেন, তিনি বেকার। ভরণপোষণ দিতে পারবেন না। স্বামী আরও জানান তাঁর স্ত্রী রোজগার করেন। পারিবারিক আদালত স্বামীর পক্ষেই রায় দেয়।
কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ মহিলা
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মহিলা। তাতেই আদালত স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, স্ত্রীকে মাসে ৪ হাজার টাকা করে দিতেই হবে। হাইকোর্ট আরও বলে, বেকারত্বকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন না স্বামী।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ
বিচারপতি অজয়কুমার মুখোপাধ্য়ায়ের বেঞ্চে উঠেছিল এই মামলাটি। সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ স্বামী উপার্জনে সক্ষম এতে কোনও সন্দেহ নেই। স্ত্রীর প্রতি আইনি কর্তব্য পালন করতে পালন করতে হবে। বিচারপতি আরও বলেছেন, মামলাকারী কিছু রোজগার করছেন বটে! কিন্তু তা এমন কিছু নয়, যে তিনি ভরণপোষণ পাবেন না।
আদালত আরও জানতে পেরেছে মামলাকারীর স্বামীকে অনিয়মের জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাই চাইলে তিনি অন্যত্র চাকরি পেতে পারেন। স্বামী শুধুমাত্র স্ত্রীর প্রতি দায়িত্ব এড়িয়ে যেতেই বেকার থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আদালতের নির্দেশ
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ হল , প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে স্ত্রীকে চার হাজার টাকা করে ভরণপোষণ বাবদ দিতে হবে ওই যুবককে। এ ছাড়া ২০২৬ সালের অক্টোবরের মধ্যে স্ত্রীর ১২টি ইএমআই-এর খরচ দিতে হবে। তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা পারিবারিক আদালতে যেমন চলছে, তেমনই চলবে।

