সংক্ষিপ্ত

সিবিআই সূত্রের খবর, সিবিআই চার্জশিটে ১১০ জনকে সাক্ষী হিসেবে দেখিয়েছে। মামলার তদন্তে শতাধিক মানুষের সঙ্গে তারা কথা বলেছে বলেও জানিয়েছে।

 

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ আর্থিক দুর্নীতি-কাণ্ডে এবার চার্জশিট পেশের প্রক্রিয়া শুরু করল সিবিআই। সূত্রের খবর প্রায় ১০০ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। এটাই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় প্রথম চার্জশিট। আরজি কর দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর চার্জশিটে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ আরও চার জনের নাম রয়েছে। দুর্নীতি কাণ্ডে তদন্তে সিবিআই জানতে পেরেছে সন্দীপ ঘোষ কী করে মুনাফালাভের জন্য আর্থিক তছরুপ করেছেন।

সিবিআই সূত্রের খবর, সিবিআই চার্জশিটে ১১০ জনকে সাক্ষী হিসেবে দেখিয়েছে। মামলার তদন্তে শতাধিক মানুষের সঙ্গে তারা কথা বলেছে বলেও জানিয়েছে। সূত্রের খবর সিবিআই ১০০ পাতার চার্জশিটে প্রায় দেড় হাজার পাতার নথি জমা দিয়েছে। সেখানেই আরজি করের দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। চার্জশিটে নাম রয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। এছড়াও নাম রয়েছে ছাত্র নেতা আশিস পাণ্ডা, মেডিক্যাল সরঞ্জাম সরবরাহকারী বিপ্লব সিংহ, সুমন হাজরার। সন্দীপ ঘোষের প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী আফসার আলির নামও রয়েছে চার্জশিটে।

সূত্রের খবর সিবিআই তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে আরজি কর হাসপাতালের থেকে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের জন্য পাঁচ জনের একটি ব়্যকেট তৈরি করেছিল। চক্রের মাথায় রয়েছে তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। পাঁচ জনেই মিলেই লুটে ছিল আরজি করের টাকা। তদন্তে নেমে সিবিআই প্রথমেই গ্রেফতার করেছিল সন্দীপ ঘোষকে। তারপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়েছিল।

মেডিক্যল সরঞ্জামের পাশাপাশি হাউসস্টাফসিফেই দুর্নীতি ছিল। সিবিআই সূত্রের খবর চার্জশিটে হাউসস্টাফশিপকেই মূল করে সন্দীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাজান হচ্ছে। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এটাই সিবিআই-এর বিরুদ্ধে সব থেকে বড় অভিযোগ বলেও মনে করছে সিবিআই। হাউসস্টাফশিপ চলত সন্দীপ ঘোশের মর্জিমাফিক। তাঁর খেয়াল খুশি মতই সময় বাড়ান বা কমান হত। যে কোনও মেডিক্যাল কলেই হাউসস্টাফশিপ-এর নির্দিষ্ট সময় থাকে। তারই মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়। কিন্তু সন্দীপের আমলে আরজি করে নির্দিষ্ট সময় ছিল না।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।