সংক্ষিপ্ত
রহস্যময় লাল ডায়েরি হাতে সোমবার সিবিআই আরজি কর হাসপাতালের নিহত নির্যাতিতার বাড়িতে যায়। কিন্তু কী এই ডায়েরি- যা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। এর আগে বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার সোদপুরের বাড়িতে গিয়েছিল সিবিআই পাঁচ সদস্যদের প্রতিনিধি। কিন্তু এদিন সিবিআই-এর দুই মহিলা আধিকারিক যান নির্যাতিতার বাড়িতে। তাদের হাতেই ছিল একটি লাল ডায়েরি।
সোমবার বেলা ১টা ১৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি গাড়ি থামে নির্যাতিতার সোদপুরের বাড়ির সামনে। সঙ্গে ছিলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। এরপর গাড়ি থেকে নেমে সিবিআই-এর দুই মহিলা আধিকারিক সোজা ঢুকে যায় নির্যাতিতার বাড়িতে। এদিন তাঁরা এক ঘণ্টারও বেশি সময় কাটান নির্যাতিতার বাড়িতে। কথা বলেন নিহতের বাবা ও মায়ের সঙ্গে। তাদের সঙ্গেই ছিল লাল ডায়েরি।
সম্ভবত এটি নির্যাতিতার বাজেয়াপ্ত হওয়া ডায়েরি। যার পাতা ছেঁড়া নিয়ে নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। নির্যাতিতার বাবা রবিবার মেয়ের ডায়েরির পাতা উধাও হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, সেই পাতাগুলির ছবি তাঁর কাছে তোলা রয়েছে। সিবিআই চাইলে প্রমাণ হিসেবে তিনি তা দিতে পারেন।
সিবিআই সূত্রের খবর- ডায়েরি সম্পর্কে নির্যাতিতার বাবা ও বা কি জানেন, ছেঁড়া পাতায় কী লেখা ছিল, হাসপাতালের ভিতকে কোন কোন বিষয় প্রভাব ফেলেছে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ কীভাবে চাপে রাখতেন নির্যাতিতাকে- এই সব প্রশ্নের উত্তরের খোঁজেই এদিন নিহত নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছিল সিবিআই।
আরজি কর হাসপাতালের নিহত নির্যাতিতার ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। শ্বাস রোধ করা হয়েছে। যার অর্থ ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী জোর করে যৌন সম্পর্ক তৈরির ছাপ স্পষ্ট পাওয়া গেছে নির্যাতিতার দেহে। ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।