বাংলায় বিধানসভা ভোট ঘোষণা হওয়ার কথা আগামী বছরের মার্চ নাগাদ। তার চার মাস আগে থেকেই উত্তর থেকে দক্ষিণ- রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের স্পর্শকাতর বা সংবেদনশীল বুথগুলির উপরে বাড়তি নজর দেশের নির্বাচন কমিশনের (ইসি)।

নির্বাচন কমিশনের নজরে এখন পশ্চিমবঙ্গের স্পর্শকাতর বুথগুলি। সাধারণত ভোট ঘোষণার আগে থেকেই কমিশন তাদের নিজস্ব ইনপুট এবং রাজ্য পুলিশের সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই ধরনের বুথগুলিকে চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করে। তবে এ বার 'এসআইআর'-এর সূত্রে এই কাজটা অনেক আগেই শুরু হয়ে গেল।

বাংলায় বিধানসভা ভোট ঘোষণা হওয়ার কথা আগামী বছরের মার্চ নাগাদ। তার চার মাস আগে থেকেই উত্তর থেকে দক্ষিণ- রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের স্পর্শকাতর বা সংবেদনশীল বুথগুলির উপরে বাড়তি নজর দেশের নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (সার) সূত্র ধরেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ আগরওয়াল এই বুথগুলির উপরে এখন থেকে বেশি করে নজরদারির নির্দেশ দিলেন সংশ্লিষ্ট সব জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের (ডিইও)।

সিইও-র নির্দেশ, ২০২১-এর বিধানসভা এবং ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের সময়ে সবক'টি বিধানসভা কেন্দ্রের যে সব বুথকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল, এনিউমারেশন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি খতিয়ে দেখার জন্য সেগুলিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিটি নির্বাচনের সময়ে কমিশন আলাদা করে স্পর্শকাতর বা অতি স্পর্শকাতর বুথ আলাদা করে চিহ্নিত করে। এই সংখ্যাটা এক একটি ভোটের সময়ে আলাদা হয়।

কমিশন সূত্রের খবর, এই সব বুথে কোনও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের দাপাদাপি বেশি হলে ভোটার লিস্টে গা-জোয়ারি করে তাদের অনুকূলে নাম ঢোকানো বা জালিয়াতির আশঙ্কা থেকে যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে বিরোধী মনোভাবাপন্ন বলে চিহ্নিত ভোটারদের নাম জোর করে বাদ দেওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। যা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়। এখন এনিউমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজেশনের কাজ চলছে। সে সময়ে অনেক ক্ষেত্রে বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও) উপরে চাপ তৈরির অভিযোগ উঠছে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে। তাই ভোটার লিস্টে যাতে কোনও ভাবেই কারচুপি না-করা যায়, তা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ।