সংক্ষিপ্ত

নিউ মার্কেটে ধুন্ধুমার। হকার বনাম দোকানদের মধ্যে তুমুল বচসা।

নিউ মার্কেটে ধুন্ধুমার। হকার বনাম দোকানদের মধ্যে তুমুল বচসা।

উল্লেখ্য, নবান্নতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সামনে পারস্পরিক দোষারোপ শুরু হয়ে গেছিল নিউ মার্কেট এলাকার হকার এবং দোকানদারদের মধ্যে। ধমক দিয়ে তাদের থামিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “সকলকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।” কিন্তু তারপর তিনদিনও পেরোয়নি। ফের একবার ঝামেলা। নিউ মার্কেটে হকার বনাম দোকানদারদের গন্ডগোলের জেরে শনিবার, কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল জওহরলাল নেহরু রোড এবং এসএন ব্যানার্জি রোডের একাংশ।

ইট নিয়ে একে অপরের দিকে তেড়ে গেলেন তারা। হাতাহাতিও চলল দুই পক্ষের। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায়। দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকল রাস্তা। নাজেহাল হতে হল সাধারণ মানুষকে। জবরদখল করে রাখা জায়গা হাতছাড়া হওয়ার ভয়েই কি নতুন গোলমাল?

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘটনার সূত্রপাত হয় এদিন বেলা ১২টা নাগাদ। নিউ মার্কেট সংলগ্ন একটি দোকান শ্রীরাম আর্কেড শপিং সেন্টার। সেই দোকানের ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক মাকসুদ খানের গাড়ি রাখা নিয়ে বচসা শুরু হয়। তাঁর দোকানের সামনে পার্কিং লটে গাড়ি রাখতে এলে হকারেরা তেড়ে আসনে এবং বাধা দেন বলে অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদ করায় মাকসুদকে মারধর করা হয়।

এই ঘটনার প্রতিবাদে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দুপুর আড়াইটে নাগাদ গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে অবরোধ শুরু করেন। প্রায় দুপুর ৩টে পর্যন্ত অবরোধ চলে। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়। কিন্তু ওই ব্যবসায়ীদের অভিযোগ হল, তাদের ওপর ফের চড়াও হন হকাররা।

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল, খোঁজ নেব। সাধারণ মানুষ ভুগবেন, এমন কোনও কাজ বরদাস্ত করা হবে না।”

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।