- Home
- West Bengal
- Kolkata
- Kolkata Crime: ট্যাংরা খুন-কাণ্ডে রহস্যের ঘনঘটা, যেসব প্রশ্নের জট ছাড়ানোর চেষ্টা করছে পুলিশ
Kolkata Crime: ট্যাংরা খুন-কাণ্ডে রহস্যের ঘনঘটা, যেসব প্রশ্নের জট ছাড়ানোর চেষ্টা করছে পুলিশ
ট্যাংরায় রোমি দে, সুদেষ্ণা দে ও প্রিয়ম্বদা দে-কে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরই খুনে তত্ত্বেই শিলহর দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

ট্যাংরা-কাণ্ড আত্মহত্যা নয় খুন!
ট্যাংরায় রোমি দে, সুদেষ্ণা দে ও প্রিয়ম্বদা দে-কে খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরই খুনে তত্ত্বেই শিলহর দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
খুনের সময়
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট করা হয়েছে ময়নাতদন্তের অন্তত ৩৬-৪৮ ঘণ্টা আগে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে হাসপাতাল জানিয়েছে প্রণয় আর প্রসূনদের অবস্থা স্থিতিশীল হলেও তাদের আঘাত গুরুতর।
আইসিইউতে প্রতীপ
আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে ১৪ বছরের প্রতীপ। তাঁর অবস্থা কিছুটা ভাল। তার শরীরের একাধিক হাড় ভেঙেছে বলেও জানিয়েছে হাসপাতাল। সুস্থ হতে সময় লাগবে। ট্রমায় রয়েছে এখনও।
ট্যাংরাকাণ্ডে তিনটি জিনিস খুঁজছে পুলিশ
ট্যাংরাকাণ্ডে যে তিনটি জিনিস খুঁজছে পুলিশ, সেগুলি হল- খুনের ছক কে কষেছে, ঋণদেনা কেন আর মনস্তত্ত্বিক কারণ।
খুনের ছক কে কষেছে
ট্যাংরাকাণ্ডে তিনজনকে খুনের ছক কে কষেছে? আহত দুই ভাই হাসপাতালে দবি করেছে তারা দুইজনই ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারপর তাঁরা প্রতীপকে নিয়ে বেরেন আর মেট্রোর পিলারে ধাক্কা মারেন। পুলিশের প্রশ্ন, কেন সকলে মিলে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করছে।
পুলিশ নিশ্চিত
দুই ভাইয়ের স্ত্রী ও প্রিয়ম্বদাকে খুন যে প্রণয় বা প্রসূন করেছে তা একপ্রকার নিশ্চিত। এই ঘটনায় পরিবারের বাইরের কেউ জড়িত নয় বলেও পুলিশ নিশ্চিত।
খুনের কারণ কী দেনা?
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ট্যাংরার দে পরিবারের প্রচুর ঋণ আর দেনা হয়েছিল। দেনার পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। ৬টি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। প্রণয় আর প্রসূন জেরায় জানিয়েছে তারা ঋণের বোঝা থেকে বাঁচতে আত্নহত্যার পরিকল্পনা করেছিল।
বাস্তব ছবি
পুলিশের তদন্তে বাস্তব ছবি বলছে অন্যকথা। কারণ পাড়ার মুদির দোকান থেকে শুরু করে কারখানার শ্রমিকদের পাওনাগণ্ডা কড়ায়গণ্ডায় চুকিয়ে দিয়েছিলেন। ধারবাকি কোথাও ছিল না। তবে বাড়িটি কিন্তু বন্দক দেওয়া ছিল।
মনস্তত্ত্বিক সমস্যা
ট্যাংরাকাণ্ডের নেপথ্যে জটিল কোনও মনস্তত্ত্ব থাকতে পারে, অনুমান পুলিশের। হতে পারে, পরিবারের অন্দরে এমন কোনও সমস্যা বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল যে, কেউ আর বেঁচে থাকতে চাননি। একসঙ্গে সজ্ঞানে হয়তো সকলে ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন।
সেখানেও রয়েছে প্রশ্ন
সকলেই যদি ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর চেষ্ট করেছিলেন তাহলে শিরা কেন কটা হয়েছিল- প্রশ্ন রয়েছে পুলিশের। পাশপাশি ঘুমন্ত দুই বধূর দেহ ঘরে রেখে বাইরে কেন বেরিয়ে গিয়েছিলেন প্রণয় আর প্রসূন। এই প্রশ্নের জট খোলার চেষ্টা করছে কলকাতা পুলিশ।