সংক্ষিপ্ত

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রায় দুই ঘন্টা বৈঠকের পর কিছু দাবী মেনে নেওয়ার কথা জানা গেছে। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলল জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক। এখন চলছে মিনিটস বা কার্যবিবরণী লেখা আর সই করার কাজ। সন্ধ্যে ৬টা ৪০ মিনিটে শুরু হয়েছিল বৈঠক. রাত সাড়ে আটটারও বেশি শেষ হয় বৈঠক। এদিন কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে উঠছে 'বিচার চাই' স্লোগান। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এখনও রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে তারা যে বাসে করে কালীঘাটে গেছেন সেটা স মমতার বাড়ির সামনে এসে পৌঁছেছে।

সূত্রের খবর জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মত হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টি মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে কিছু কিছু বিষয়ে সহমত হয়নি দুই পক্ষ। 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে কালীঘাটের বৈঠকে যোগ দেবেন কী জুনিয়র ডাক্তাররা- এখনও চলছে আলোচনা। সোমবার বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে নবান্ন থেকে ইমেল পেয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপরই তাই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। জুনিয়র ডাক্তারদের এক প্রতিনিধি অনিকেত মাহাতো জানিয়েছেন বৈঠকের পরই জানান হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। প্রশাসনিকভাবে সোমবার আবারও জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলে নিয়ে কাজে ফেরার আবেদন জানিয়ে মেল করেছিল নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বৈঠকে ডেকেছের বিকেল পাঁচটায়। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সরকারের তরফে চিঠি লিখেছেন।

নবান্নের এই চিঠির পরই জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন তাঁরা আলোচনার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। ৩০ জনের প্রতিনিধিকেই এবার আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের কথা অনুযায়ী সরকার তাদের ওপর চাপ তৈরি করছে। কেন সরাকর বারবার বলেছে পঞ্চম ও শেষ চেষ্টা। যদিও আগামিকাল সুপ্রম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি। তার আগের দিনই নবান্ন জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে ডেকেছে। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্য ভবনে ফিরে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেই সিদ্ধান্ত নেবেন তারা কোনপথে এবার আলোচনা চালাবেন।

 

সবিস্তারে আসছে...