Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ তৃণমূল নেত্রীর হাতে আক্রান্ত বাম নেতা। মামলা গ্রহন আদালতের। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Kolkata News: পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন খড়্গপুরে তৃণমূল নেত্রীর হাতে আক্রান্ত প্রবীণ সিপিএম নেতা (CPIM) অনিল দাস। ঘটনায় আগেই খড়্গপুর টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। যদিও তার অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে ন্যায় বিচার চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা দায়ের করেন ওই প্রবীণ বাম নেতা। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, কয়েক দিন আগেই খড়্গপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় দিনেরবেলায় প্রবীণ বাম নেতা অনিল দাসকে রাস্তায় ফেলে মারধর এবং জুতোপেটা করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল মহিলা নেত্রী বেবী কোলে সহ আরও কয়েক জন মহিলার বিরুদ্ধে। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই ঘটনায় শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয় বিরোধীরা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তৃণমূলও। অভিযুক্ত বেবি কোলেকে দল থেকে শোকজ করার পাশাপাশি খডড়্গপুর টাউন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় অনিল দাসকে।
শুধু তাই নয়, গত বুধবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনিও সরব হন। বাম নেতৃত্বের তরফেও তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান। এদিকে ঘটনার পর চারদিন কেটে গেলেও পুলিশ এখনও অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তাই বিচার চেয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন খড়্গপুরের প্রবীণ বাম নেতা অনিল দাস।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা দায়েরের আবেদন করেন তার আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে, স্বামীকে প্রকাশ্য দিবালোকে হেনস্থা ও মারধরের ঘটনায় ন্যায়বিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন প্রহৃত বাম নেতা অনিল দাসের স্ত্রী সুস্মিতা দাস। তবে এখন দেখার বাম নেতাকে মারধর কাণ্ডে এই জল কতদূর পর্যন্ত গড়ায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।