সংক্ষিপ্ত

ফের একবার মারধরের ঘটনা কলকাতায়। এলাকায় প্রোমোটারির কাজ করতে গেলে দিতে হবে পাঁচ লক্ষ টাকা। কিন্তু সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় এক প্রোমোটারকে মারধর করার অভিযোগ সামনে এসেছে।

ফের একবার মারধরের ঘটনা কলকাতায়। এলাকায় প্রোমোটারির কাজ করতে গেলে দিতে হবে পাঁচ লক্ষ টাকা। কিন্তু সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় এক প্রোমোটারকে মারধর করার অভিযোগ সামনে এসেছে।

শুধু তাই নয়, ঐ প্রোমোটারের অফিসেও ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি, ভেঙে দেওয়া হয়েছে অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরাও। আক্রান্ত প্রোমোটার অভিযোগ করেছেন, হামলাকারীরা এসে তৃণমূল কর্মী বলেই নিজেদের পরিচয় দেন। তারা নিজেদেরকে কাশীপুর-বেলগাছিয়ার বিধায়ক অতীন ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলেও দাবি করেন।

এই প্রসঙ্গে অতীন ঘোষ জানান, “কেন আমার নাম বলা হয়েছে আমি ঠিক জানি না। আমি বেশকয়েক দিন ওই এলাকাতে যাইনি। রানা বলে যার কথা বলা হচ্ছে, তাঁকে আমি চিনি। তাঁকে তো শিক্ষিত বলেই জানতাম। কিন্তু তাঁর সঙ্গে আমার বেশিদিনের যোগাযোগ নয়। পুলিশকে বলব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যেন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। তবে আমি বিষয়টি তৃণমূল নেতৃত্বকে অবশ্যই জানাব। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।”

জানা যাচ্ছে, কাশীপুর থানা এলাকার সিঁথির মোড়ের কাছেই ওই প্রোমোটারের অফিসটি অবস্থিত। অভিযোগ উঠছে, শুক্রবার রাতে আচমকাই কয়েকজন সেই অফিসে গিয়ে হাজির হন। দাবি করেন, এলাকায় যদি ব্যবসা করতে হয়, তাহলে নাকি পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এই নিয়ে দুপক্ষের মধ্যেই বচসা শুরু হয়ে যায়।

কথা কাটাকাটির পর প্রোমোটার টাকা দিতে অস্বীকার করায়, তাঁর উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। মারধর করা হয় তাঁকে। তারপর অফিসের মধ্যেই ভাঙচুর চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। এমনকি, অফিসের মধ্যে থাকা এক লক্ষেরও বেশি টাকা নিয়ে চম্পট দেয় তারা।

এদিকে খবর পেয়েই ওই অফিসে এসে পৌঁছন আক্রান্ত প্রোমোটারের দাদা তাপস মজুমদার। ভাইকে উদ্ধার করে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই আক্রান্ত প্রোমোটারের চিকিৎসা চলছে। রাতেই কাশীপুর থানায় অভিযোগ জানান তাপস। শনিবার সকালে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। তাঁর কথায়, “দুষ্কৃতীরা সবাই তৃণমূল করত।” অন্যদিকে, আক্রান্ত প্রোমোটার জানান, দুষ্কৃতীরা এসে নিজেদেরকে কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করে।

শুক্রবার মাঝরাতে এই হামলার ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে। সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে, কয়েকজন ব্যক্তি বাইকে করে এসে প্রোমোটারের অফিসের সামনে প্রথমে দাঁড়ান। তারপর ভিতরে ঢুকে প্রোমোটারকে মারধর করতে শুরু করেন দুজন। একজনের পরনে ছিল হলুদ এবং অন্যজনের পরনে ছিল সবুজ রঙের জামা। এছাড়াও আরও কয়েকজন ছিলেন ঐ অফিসের মধ্যে। সকলে মিলে মারধর করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন জিতেনকুমার পাল এবং কনওয়ালজিৎ শী।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।