সংক্ষিপ্ত
Rajiv Kumar on Bengal Clash: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদে নেমেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। জেলায় জেলায় অশান্তির ছবি। শুক্রবার দিনভর তাণ্ডব মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায়। জানুন বিশদে…
Rajiv Kumar on Bengal Clash: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদে নেমেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। জেলায় জেলায় অশান্তির ছবি। শুক্রবার দিনভর তাণ্ডব মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায়। একাধিক জায়গায় সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই আবহে শনিবার দুপুরে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার (Rajiv Kumar on Bengal Clash)।
পুলিশের তরফে শান্তি বজায় রাখার বার্তা (Rajiv Kumar on Bengal Clash):-
রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জাভেদ শামিমও গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও দাবি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে চিহ্নিত উস্কানিদাতাদের গ্রেফতার করা শুরু হয়েছে। অশান্তি থামানোর জন্য পুলিশের যা যা করার দরকার তা করবে বলেও এদিন কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। বলেন, ''কেউ কোনওরকম গুজবে কান না দিয়ে শান্তি বজায় রাখুন। প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমাদের সচেতন ভাবে পরিস্থিতির মোকবিলা করতে হবে।''
অন্যদিকে, ওয়াকফ ইস্যুতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের অশান্তি নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, ''ওয়াকফ সংশোধনী আইন রাজ্য সরকার সমর্থন করে না। বাংলায় এই আইন বলবৎ হবে না।'' তা সত্ত্বেও কেন হিংসা? সেই প্রশ্নও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ''উস্কানিদাতাদের কোনও রকম রেয়াত করা হবে না।''
তিনি আরও লেখেন, ''এই আইনটি কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি করেছে। রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। কেউ যদি এর প্রতিবাদ করতে চান, তা হলে কেন্দ্রের কাছেই উত্তর চাইতে হবে।'' পাশাপাশি কিছু রাজনৈতিক দলের ধর্মের অপব্যবহার করার চেষ্টার কথাও তুলে ধরেন তিনি। তাঁর আবেদন, ‘‘প্ররোচনায় পা দেবেন না। ধর্ম মানে মানবিকতা, সহৃদয়তা ও সম্প্রীতি।’’
প্রসঙ্গত, ওয়াকফ আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদ। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে একেবারে রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করল জঙ্গিপুর মহকুমার সুতি ও সামশেরগঞ্জ ব্লক সহ একাধিক এলাকা।
জানা গিয়েছে, ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে নিমতিতা স্টেশনে। বিক্ষোভকারীরা সেখানেও ভাঙচুর চালিয়েছে। এমনকী ধুলিয়ান স্টেশন ও নিমতিতা স্টেশন মাঝামাঝি রেললাইনে কয়েকশো মানুষ দুপুরের পর থেকে লাইনে বসে ট্রেন অবরোধ করছে। পাশাপাশি মালদহ ডিভিশনের এক আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অবরোধের জেরে নিউ ফারাক্কা আজিমগঞ্জ লাইনে আপ এবং ডাউন লাইনে সম্পূর্ণ বন্ধ ট্রেন চলাচল। ফলে ওই লাইনে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন দীর্ঘক্ষণ হয়েছে দাঁড়িয়ে আছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে