Kolkata law college rape case:দক্ষিণ কলকাতা আইন কলজে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। শনিবার নির্যাতিতাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।

কসবা আইন কলেজের নির্যাতিতা তরুণীর ডিএনএ- এর নমুনা সংগ্রেহ করা হয়েছে। গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় মূল অভিযুক্ত-সহ বকি দুই জনেরও ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা বে। তার রিপোর্ট এই ঘটনার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ হবে বলেও দাবি করছেন তদন্তকারীরা। কসবা আইন কলেজে ধর্ষণের ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকরী দল বা সিট গঠন করা হয়েছে। এবার সিট-র সদস্য সংখ্যা ৫ থেকে বাড়িয়ে ৯ করেছে রাজ্য সরকার। চার জন নতুন সদস্যদের মধ্যে একজন মহিলা সাব ইনস্পেক্টর রয়েছে।

দক্ষিণ কলকাতা আইন কলজে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। শনিবার নির্যাতিতাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর দুই ঘটনারও বেশি সময় ধরে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। ঘটনার দিন সাত ঘণ্টার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে ধৃত চার জনকেই দেখা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে চার জন ছিল বলে পুলিশ প্রায় একপ্রকার নিশ্চিত।

কসবা ল'কলেজের ঘটনার তদন্ত রাজ্য সরকার যে সিট নির্মাণ করেছে সেই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যন্ট পুলিশ কমিশনার প্রদীপ কুমার ঘোষাল। বুধবার ঘটনার পরের দিনই পুলিশ মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার বাকি দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলেজের নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়েছে শনিবার। পুলিশ সূত্রের খবর, নির্যতিতার বয়ান অনুযাযী তিন জনের মধ্যে একজন ধর্ষণ করেছে। কিন্তু বাকি দুই জন ঘটনাস্থলে থেকে মূল অভিযুক্তকে ধর্ষণে সাহায্য করেছে। নিরাপত্তারক্ষীও পরোক্ষভাবে ধর্ষণে মদত দিয়েছে। তার বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় তাঁকে পরবর্তীতে গ্রেফতার করা হয়েছে।